ভেবে রেখেছি একদিন সূর্য দেখবো ,
ছুঁয়ে দেখবো সূর্যের সোনালী রশ্মি ,
সূর্যের শক্তিতে হবো শক্তিমান,
সূর্যের সোনালী আভায় হবো উদ্ভাসিত,
বহুদিন পর আলো ঝিলমিলিয়ে উঠবে আমার পৃথিবী।


অনেক দিন অন্ধকারে নিমগ্ন আমার চারিপাশ ,
শ্রাবণের প্রকৃতির মতো স্যাঁতস্যাঁতে আমার ভেতরটা ,
সবুজাভ শ্যাওলায় পিছলে পরে আমার স্বপ্নরা।


অন্ধকার আমার বড় ভালো লাগতো-জানোই তো,
আজ তেমনই বড় ভয় এই অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার,
আঁধারের সমাপ্তিতে নিজেকে সঙ্গি করার।


একটা সময় শ্রাবণের প্রতীক্ষায় অধীর ছিলাম তুমি-আমি, বিস্মৃত হওনি নিশ্ছয়?
শ্রাবণ সন্ধ্যায় অথবা দ্বিপ্রহরে তোমার জন্য ,  
কত উদ্দামতা,কি ভীষণ ছিল সেই অস্থিরতা,
তোমারও কি কিছু কম ছিল ?


তোমার অনুপস্থিতি আঁধারকে করেছে আমার শত্রু,
কাঙ্ক্ষিত শ্রাবণ আজ অস্পৃশ্য।


ভালই হয়েছে - এতো সময় কোথায় আমার !
রাজ্যের বেস্ততা গ্রাস করুক তোমার বাবুকে
এইতো তোমার আরাধ্য ছিল সবসময় ।


ভেবে যখন রেখেছি সূর্য আমি দেখবই,
ছুঁয়ে দেখবো তার সোনালী রশ্মি ,
হয় আলকিত হবো নয় ভস্ম হয়ে মিশে যাবো হাওয়ায়,
হাওয়া ছড়িয়ে দেবে আমায় এখানে সেখানে,
পথে  প্রান্তরে,দুর পাহাড়ে অথবা গহীন অরণ্যে।
ভয় নেই - হাওয়ার সাধ্য কোথায় তোমায় ছুঁয়ে যাবে !