গণতন্ত্রের বিবর্ণ নিশান
আজ আমার হাতে
শাসকের হাতের শকুনির পাশায়
মোর নাম লেখা তাতে।


আমি কে? এখনও চিনলে না?
আমি, আমি "ভোট"
পাঁচ বছর পর পর আমার আবির্ভাব ঘটে
রাজসূয় যজ্ঞের আয়োজন রক্ষার্থে।
আজ আর আমি নিজেকে
চিনতে পারি না।
হয়ত কোনদিন আমার জন্ম হয়েছিল,
জণগণের কন্ঠস্বর হওয়ার জন্য।
কিন্তু কখন যে শাসকের ক্রীতদাস হয়ে গেলাম
বুঝতেই পারলাম না।
বর্তমানে তোমরাও যা আমিও তাই।
আজ কাল আমাকে ঘিরে চলে,
টাকার খেলা, মানুষ কেনা বেচার খেলা;
যেখানে আমার কোন ভূমিকা নেই।
বিশ্বাস কর, বিশ্বাস কর তোমরা ,
শাসকের হাতের ক্রীড়ানক হতে চাই না।
আমি ছাপ্পা ভোট চাই না
আমি রিগিং চাই না
কিংবা বুথ দখল, কোনকিছু ই চাই না।
শুধুমাত্র চাই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক।
কিন্তু কোথায় কোথায় জনগণ?
জনগণ শাসক তৈরী করে না শাসক জনগণ তৈরী করে সেটাই এখন বোঝা দায়।
কিছু মনে করো না,
তোমরা আসলে গোলাম থাকতেই বেশী পছন্দ কর!
দুই শত বছরের গোলামির রক্ত মিশে আছে অস্থিমজ্জায়
এত সহজেই কি তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শাসকের রক্তচক্ষু কে তোমরা ভয় পাও।
পিছিয়ে যেতে যেতে পিঠ কেটে দেয়ালে রক্ত চুইয়ে পড়ছে কোন ব্যথা নেই বেদনা নেই।
এবার ওঠো জাগো আমাকে মুক্ত কর,
তোমাদের কন্ঠস্বরে জেগে উঠুক আগামীর কন্ঠস্বর।
এভাবে চললে হয়তবা কোনদিন ভোট নামের কোনো অস্তিত্ব ই থাকবেনা।
আজ পেশী তন্ত্রের কাছে হেরে গেছে গণতন্ত্র।
তাইতো আমি আসার পর চলে রক্তের হোলি
আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলে কতনা জনপদ।
তার সাথে জ্বলে তোমাদের বিবেক!
তাও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
ওরা কয়েকজন আর তোমরা অগুনতি।
একবার শুধু একবার বজ্র কন্ঠে সবাই বলো
আমার ভোট আমার "অধিকার"
আমার ভোট আমার "স্বাধীনতা"
আমার ভোট আমার "লড়াই"
আমার ভোট আমার " অঙ্গীকার "
আমার ভোট আমার "দেশের স্বার্থে"
যেখানে আমার জন্ম, স্থিতি, লয়------