হুস করে এক মোটরগাড়ি কালো কাচে মোড়া
নর্দ মার পাক ছিটিয়ে দিয়ে রং করল আগাগোড়া l
চোখে কাদা আমি হাঁদা স্বাধীনতার সকাল
কি যে হলো চোখ খুলে না এই যে ভারি বেতাল ।
হঠাৎ করে সকল রাগে চিৎকার করল গলা
একটি ডাকে মিলিয়ে গেল গলা সাধার কলা।
ও বড়দা সকাল সকাল কোথায় যাচ্ছ হেঁটে
আমার চলার পথ দিলে এমনি করে কেটে।
ওরে তোতলা, ওরে ন্যাবলা ,দাদার চোখে ঢাল জল
চেটে খেলে পেটে গেলে পাবলিক বাধাবে গন্ডগোল
জলের ঝাপটায় ধুলো কাদা মুক্ত হল চোখ
ভিজে গেল চুপিসারে স্বাধীনতার সুখ।
চেয়ে দেখি সামনে দাঁড়িয়ে জনগণের ধারক
বন্ধ চোখে আমরা এখন গণতন্ত্রের বাহক।
বলল হেসে ওহে দাদা একটুখানি সামলে চল
দুই পায়েতে এখনো রাস্তায় সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো।
আমায় দেখো কোথা থেকে কোথায় গেছি উঠে
তুমি এখনো রইলে পরে কাদায় ফুটপাতে ।
হঠাৎ করে ফ্ল্যাশব্যাকে পনের বছর পেছনে
নেতা তখন সকাল বিকেল সবজি বেচে দোকান।
পেটোহাতে ছোট নেতা, জমির দখলে মাঝারি
প্রোমোটারির হাত ধরে দেখে রং বাহারি ।
এখন সে দেশের মন্ত্রী কালো বেড়ালে ঘেরা
ওদের কাদায় ধন্য মোরা ভাগ্য আত্মহারা ।
আসি দাদা শুনে ,এবার ফিরলাম বর্তমানে
দাবার কোটে বোরের চালে সাবার প্রতি ক্ষণে।
বাড়ি ফিরে নেয়ে ধুয়ে সবে এসে বসা
এমনি সময় কলিংবেলে সজোরে লাগলো ঘষা
দরজা খুলে দেখি, পাড়ার কিছু ছেলে
গুড মর্নিং বলে সবাই ঢুকলো ঠেলে ঠুলে ।
মেসোমশাই শুনছেন কিনা ---
আজ বসের জন্মদিনে মুর্তি হবে স্থাপন
আপনারা সব দলে দলে করবেন তারে আপন ।
ভদ্রমুখে সাশাল বেশ জ্ঞান দিল তাজা
ঠারে ঠুরে  বুঝিয়ে দিল না যাওয়ার মজা।
ভাবি বসে স্বাধীন দেশে এ কোন স্বাধীনতা ?
নব্য ইংরেজের শাসানিতে মানসিক পরাধীনতা ।
স্বাধীনতার ঋণ মকুব করে দিয়েছে যারা
তাদের হাতেই ব্যক্তি স্বাধীনতা হয়েছে দিশাহারা ।
মূর্তি স্থাপনে কীর্তি লাগে না লাগে শুধু ক্ষমতা
ক্ষমতাতন্ত্রে চুপ করে থাকা জনতার স্বাধীনতা।
দেশের ভাষা বোঝে না কেউ হারিয়েছে দ্রোহকাল
দেশের মাটিতে দাপিয়ে বেড়ায় স্বাধীনতার কঙ্কাল।।