অম্লান ওদের বন্ধু,
খুব প্রতিভাবান।
ওর ব্যক্তিত্ব, মিষ্টি হাসি, ওর বুদ্ধিদীপ্ত চাহনি -
মুগ্ধ করেছিল মেয়েটি'কে।


তখন ওরা দশম শ্রেণী।
ওদের প্রথম ভালোবাসা রবীন্দ্রকবিতা।
কবিতার ভাষায় হতো ওদের ভাব বিনিময়।
এক ষোড়শীর বিশুদ্ধ ভালোবাসা।
আজন্ম ভালোবাসার মোহে সে দিয়েছিল ডুব
অন্তহীন ভালোবাসার গভীর সমুদ্রে।
সেখানে ছিল না কোনো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা।


ওদের প্রথম দেখা এক কোচিং ক্লাসে।
ওরা দু'জনে ছিল দুটি নামি স্কুলের প্রধান মুখ।
কোচিং ক্লাসে তাই চলতো ওদের রেষারেষি।
তারই মধ্যে, কোথায় যেন লুকিয়ে ছিল -
অন্যজন'কে জিতিয়ে দেবার এক না বলা সুখ।
এই জিতিয়ে দেওয়া আর হেরে যাওয়াই ছিল- ওদের ভালোবাসা।
কখনও বা,
দেখা হলেও হতো না কোনো কথা।
আবার কখনও বা,
সেই দেখার সুযোগটুকুও থাকতো অধরা।


এরপর, যেমন দু'টি নদী দু'দিকে বয়ে যায়-
ওরাও ঠিক তেমনি ভাবে কালের স্রোতে এগিয়ে চলে।
ওদের একজন হয় প্রযুক্তিবিদ ।
অন্যজন চিকিৎসক।
মেয়েটি তখন মেডিকেল কলেজ হস্টেলে।
ওর সতীর্থ যারা-
অবসর সময়ে, কেউবা তারা যাচ্ছে সিনেমায়-
কেউবা রেস্তরাঁয়।
আর মেয়েটির তখন সময় কাটে -
ডাক বাবুর প্রতীক্ষায়।


এভাবেই ওদের, মাস কাটে- বছর যায়।
নিজ নিজ পরিসরে ওরা প্রতিষ্ঠিত হয়  ।
শবরীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়।
ওদের ভালেবাসার পরিনতি চির-অম্লান হয় ।
অবশেষে, দীর্ঘ-পথ অতিক্রম করে-
দু'টি নদী এসে মিলল মোহনায়।