দিনটা ছিল ১৩ ই সেপ্টেম্বর ২০০৩
দুপুর সাড়ে ১২ টা।
ভাদ্রের গুমোটে শরীরটা ক্লান্ত-
বিছানাতে গা'টা এলিয়ে দিতেই
দু'চোখের পাতা এল ভারী হয়ে।


তুমি এসে ব'সলে,
আমার শিয়র পানে।
তোমার সেই স্বর্ণ-বরণ সাদাসিধে সুগোল মুখখানি।
সেই সাদাসিধে বিনম্র স্নিগ্ধ চাহনি ।
ধবধবে লাল পাড় সাদা শাড়ি ।
ঠোঁট দু'খানি পানে রাঙিয়ে হয়েছে লাল।
ঠিক যেমন ছিলে যখন শয্যা নাওনি তুমি।
আমার মাথায় হাত রেখে বললে-
এই তো আমি এসেছি !


আমি তোমাকে দেখেই চমকে উঠলাম!
বলে উঠলাম -
এই তো সাত দিন আগেই তোমাকে দেখে এলাম ,
শীর্ণকায়- শয্যাশায়ী অবস্থায়।
আজ, এতো ভালো কি করে তুমি হয়ে গেলে মা!
একটু হেসে,
তুমি দিলে আমার গায়ে তোমার কোমল হাত বুলিয়ে!


মা'গো তোমার হাতের ছোঁয়ায় -
যখন আমার সম্বিত এল ফিরে ,
চার পাশের ধোঁয়াশা গেল কেটে -
একটু একটু করে ,
দিক-চক্রবালে মিলিয়ে গেলে তুমি !


আমি উঠে বসলাম।
এরই মধ্যে বেজে উঠল ফোন -
ক্রিং -ক্রিং- ক্রিং-
শত -শত মাইল দূরের দূরাভাষে -
আমি শুনতে পেলাম -
ভাইয়ের গগন ভেদী আর্তনাদ -
তুমি নেই -তুমি নেই - তুমি নেই-