অসূয়ক
অবয়ব হীন কায়া সম
নৃসিংহ সময় করেছে মস্তক নত,
আমার, তোমার, সকলের,
ভক্ত প্রল্হাদের পবিত্র স্পর্শীত,
এক ঝাঁক তাজা রোদ্দুর
পাওয়ার কথা ছিল ।
ক্ষমতার অহংকারে মত্ত
হিরণ্যকশিপু  অমানুষিক সত্ত্বা  ,
লোভ লালসা লোলুপতায় পরিপূর্ণ
রক্তস্নাত,লেলিহান,রিপুসিক্ত সৈন্য !
এরা জিততে দেবে প্রল্হাদকে ?
অসক্ষমের আকাশে মরিচীকা  
অবাঞ্ছিত নির্মল রোদ্দুর !
কে ধুয়ে মুছে করবে পরিষ্কার  
যা কিছু অমানবিক, অনৈতিক ?
হীনমন্য,স্থার্থান্বেশী, আত্মবিস্মৃত
লোভী,খণ্ডিত,জল্হাদ সৈন্যসামন্ত?
আমার অন্তরের প্রল্হাদ যে
ধ্বংস করতে চায় আমাকেই,
আমি ই তো সেই শিশুপাল
বুঝে , না বুঝে, জেগে ঘুমিয়ে,
অহংকারে মত্ত ভন্ড বুদ্ধিজীবী,
উৎকোচের দাক্ষিন্যে পরজীবী,
মখমলী কারুকার্যময় চাদর জড়িয়ে,
অশ্লীলতার তীক্ষ্ণ বানে দীর্ন করছি
অর্ক রুপী নরসিংহ-বাপুহ !
ভাবছি এভাবেই পার পেয়ে যাব ?
আমার অজান্তেই আমি স্বগর্বে
সুদর্শন চক্র করছি আহ্বান  !
মেরুদণ্ডহীন নপুংসক স্বার্থান্বেশী দের
উৎসের সন্ধান তুমি জান কি?
আমার, তোমার , বৃহত্তর নাগরিক বৃন্দের
অন্তস্থলে ঘাপটি মেরে বসে আছে কে ?
অপেক্ষায় রইলাম ,খোঁজ পেলে,
একটা কবিতা লিখে পাঠিও,
খণ্ডিত, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার আগে
শেষ বারের মত সাবধান করে দেব।
প্রল্হাদ কখন হিরন্যকশিপুর সম্মুখে
নতজানু হয়ে জগ্মপবীত ত্যাগ করল ?
পারলে সেটা ও জানিও,
অপ্রাকৃত কারণ টা বোঝার চেষ্টা করবো।
- রাধা মাধব মুখোপাধ্যায়