ছেলে টা একা হাঁটছে
আঁকা বাঁকা রাস্তা
জোনাকির মত কালো নীল আকাশ
তারাগুলো মিটিমিটি জ্বলছে
এক টুকরো মেঘের ফাঁকে
এক ফালি চাঁদের লাজুক আলোয়
একলা ছেলে টা হাঁটছে
তপ্ত মরুভূমির সোনালী বালি
দূরে উটের মিছিল
হিংলাজ কত দূরে সে জানেনা
খুঁজছে আর খুঁজছে
ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুর ঝোড়ো বালি
চোখে মুখে গায়ে তপ্ত বালি
হাঁটা তো থামে না
যদি খুঁজে পায়
সব কিছু মার পায়ে
ফেলে আসবে
ছেলে টা একা হাঁটছে
ঝম ঝামিয়ে বৃষ্টি এলো
আপাদ মস্তক চুবিয়ে ভিজছে
ভিজবেই তো
ছাতা যে  ভুলে গেছে
সব সময় তো ভুলেই যায়
ঠিক সময় ঠিক অঙ্ক কষলে
রাস্তা টাই অন্যরকম হতো
ছেলে টা যে অঙ্কে খুব কাঁচা
হিসেব কষে পাহাড় চড়তে পারল না
বরফের চাদরের ওপর ছেলেটা
শুধু ওপরের দিকে চেয়ে
হোঁচট খাচ্ছে আর হাঁটছে
রডোডেনড্রন এর সারি সারি
গাছের পাশ দিয়ে
টিউলিপ এর রঙিন স্বপ্নময়
ফুলের মধ্যে দিয়ে
রক্ত পলাশ আর লালমাটির
ওপর দিয়ে ,
দূরে কোন সাঁওতালি ছেলের
জংলা বাঁশির সুর শুনতে শুনতে
স্বপ্নের ঘোরে
ছেলে টা হাঁটছে আর হাঁটছে
দিশেহারা পথহারা গতিহারা
তবু সে থামতে জানে না
সত্তর বছর ধরে ছেলেটা একা একা
হেঁটেই চলেছে।
- রাধা মাধব মুখোপাধ্যায়