ট্রেনের কামরায় গা ভাসিয়েছে কবি।
বাতাসের সাথে মিতালী করবে বলেই।
টুপটাপ বৃষ্টির জলতরঙ্গ
ছুঁয়ে দিয়ে যায় অপরিপক্ক হাত।


হঠাৎ বাতাসে চুমুর গন্ধ!!
সামনের খোলা জানালার মুগ্ধতায়
কবিতাময়ী নারীর শরীর থেকেই আসছে।
সাদা শাড়ী আর লাল ব্লাউজের
অমীমাংশিত গল্প থেকে ছুটে আসছে বাতাস।


খোলা কেশ ঝেঁড়ে নির্বিকার বাতাসে
চুমু খাচ্ছে তেইশ বছরের বিধবা রমনী।
পেছনের জানালায় কবি, ফুসফুস ভরে
টেনে নিচ্ছে বিষাক্ত শরীরের গন্ধ।
শুষে খাচ্ছে স্থাবর অস্থাবর শরীরী ভবিষ্যৎ।
স্বরচিত কালিমা মাখছে আত্মজয়ের নেশায়।


দ্বিতীয় মৃত্যুর ঠিক পরেই জুগলবন্ধি
স্বার্থপর কবি এবং কবিতাময়ী বিধবা রমনী।
করিডোর থেকে করিডোরে, বিষধর সাপের মত
পরষ্পর স্বাধ খুঁজে বেড়ায়, গন্ধ খুঁজে বেড়ায়!!
একটা পুরোনো প্রেমের, পুরোনো সম্পর্কের,
একটা পুরোনো শরীর এবং একটি গভীর চুমুর!!


পরাজয়ের নেশায় আসক্ত হয়েও
অন্তিম সঙ্গমে তৃপ্তি মেটেনা কবিতাময়ীর!
হঠাৎ আসা গন্ধরা, চুমুরা হঠাৎ করেই চলে যায়।
কবি তখনো দ্বিতীয় মৃত্যুর সন্ধীক্ষনে,
লাল ব্লাউজের নীল বোতামে বদ্ধ
অমীমাংশিত রহস্যে রচিত কবিতায় ব্যস্ত।।


১৫ সেপ্টেম্বর (২০১৫)
রাত- ৩.০০
গোপিবাগ, ঢাকা।