কবিতার খাতা, সেই কবে তোমাকে
ছুড়ে ফেলেছি ঘরের কানাচে
যেখানে ময়লার স্তুপ সারে সারে
তেলাপোকারা বেঁধেছে বাসা।
সেই যেদিন দেখেছি ক্রন্দনরত ক্ষুধাতুর শিশু
খুবলে খাচ্ছে ভাগাড়ের খাবার
ফুটপাতে ঘুমাচ্ছে কুকুরের সাথে
অনাহারে জীর্ণ শরীরে কাদা মাখা।।।
*********************
যেদিন দেখেছি অত্যাচার সর্বত্র অনায়াসে
অত্যাচারি খোলা মাঠে ঘুরে বেড়ায়
অত্যাচারিত ঘুরে বিচারের আশায়
বিচার হয়না বিচারালয়ে।।।
কবিতার খাতা,তোমাকে ছেড়েছি সেদিন
রনাঙগনে বীরেরা করেছে অন্যায় যেদিন
কভু এতটুকু কাপে না অন্যায়ে হাত যখন
ভাবি কাব্য লেখার সময় নয়তো এখন।।।
***************************
আমার কবিতার খাতা
সেই কবে ছুঁড়েছি ঘরের কানাচে
যন্ত্রের যুগে বড়ই কঠিন
কবিতায় কবিতায় বাঁচা।
**************************
আমি এখন আর রাত্রি জাগিনা
কাব্য লিখিনা অহরহ
কাব্য পড়ার মানুষটাই আজ
জীবন করেছে বড় দুঃসহ।।।
************************
আমার বক্ষে অনল জ্বালা
পুড়িয়ে মারে নীশিদিন
তাহার হাতের সিঁধুরের কৌটা
আমার জন্য বিষের বীন।।।।
************************
এখন গগনে চাঁদ ওঠে কিনা
সে খবর আমার জানা নেই
এখন আমার দশদিক গমনে
এতটুকু কারো মানা নেই।।।।
**********************
এখন বসন্তে কোকিল গায় কিনা
ফুল ফোঁটে কিনা বৃক্ষ শাখে
আমি তাহার খবর রাখিনা
হয়তো এখন অন্য কেউ রাখে।।।
***************************
আমার খাতা আমায় ডাকে না আর
এখন সে মুক্তির জয়গান গায়
কি করিয়া আমি লেখনীর শিকল
পড়াইবো আজি তাহার পায়।।।।
**************************
তাহারে তাই মুক্তি দিলাম
মুক্তি নিলাম আমি নিজেও
মহাকালের স্রোতে হারিয়ে যাব
থাকবো না’ক জগৎ মাঝেও।।।।