মহান মানুষ যাঁরা
তারা নিজেদের দৃষ্টি শক্তি
এমন ভাবে শুদ্ধ করেছেন যে
তাঁরা মানুষের কেবল ভালটিই দর্শন করেন, এবং
এমন উদ্দীপি ভাষায় ব্যক্ত করেন যে
তাতে মানুষ উদ্দীপ্ত হয়ে
আরো ভালো হ’তে মনোনিবেশ করে।
আবার সমাজে এমন মানুষও ঢের আছেন
যারা ভালো-মন্দের মধ্যে,
মন্দটিকেই বেশী হাইলাইট করেন
এবং বলেনও খুব রূঢ় ভাষাতে
যাতে সাধারণ মানুষকে
সহজেই বিরূপ হয়ে উঠতে দেখা যায়।
যারা সাধক শ্রেনীর মানুষ-
আত্মনিয়ন্ত্রণে যত্নশীল, তাদের জন্য
এই দোষ-দৃষ্টি সম্পন্ন মানুষেরা খুবই উপকারী,
কেননা, তাদের কাছেই
নিজেদের ছোট-খাটো দুর্বলতা গুলি ধরা পড়ে,
তাদের প্রতি তারা বিরূপ না হয়ে
দোষত্রুটি ধরিয়ে দেবার জন্য
ঈশ্বরের অহেতুক দয়া জ্ঞান করে
তাদেরকে ধন্যবাদ ও পুরস্কৃত করেন-
এতে উভয়েরই মঙ্গলের পথ প্রশস্ত হয়।
ঈশ্বর পরম মঙ্গলময়,
সর্বত্রই তিনি কম-বেশী আতস-কাঁচ ছড়িয়ে রেখেছেন।