“একমেবাদ্বিতীয়ম শরনম” –
যবে ধ্বনিত হোল মক্কার ভূমিতে
হজরত রসুলের শ্রীমুখে-
স্বীয় ভাষা ও ভঙ্গীতে,
কিছু সচেতন মানুষ গ্রহণ ক’রল তা’
কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষ যারা ধর্মকে করে নিয়েছিল
অনুষ্ঠান সর্বস্ব বহু দেব-দেবীর পূজায়-
তারা করলো বিরোধিতার বিষোদ্গার -
হানলো আঘাত-
উপায় না পেয়ে অনুগামীদের সহায়ে
বহু কষ্টে জন্মভূমি ত্যাগ করে
শরণাগত হয়েছিল আরবের মদিনায়।
সেখান থেকেই “একমেবাদ্বিতীয়ম শরনম”-এর তত্ত্ব
অবাধে ধ্বনিত হতে থাকলো দিক-দিগন্তে।
আর্য্য ঋষিদের অনুভূত এই সত্য- ধর্মাচরণের এই মূল তত্ত্ব-
ছাই-চাপা আগুন থেকে উদ্গিরণের মত মাঝে মাঝেই ধ্বনিত হয়েছিল-
রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু আদি-
বিশেষ বিবর্তিত পুরুষের মুখে- যারা ‘স্বদেশে কুৎসা মণ্ডিত হন’
আবার কখনওবা
অন্যত্র ঠাই নিয়ে ‘ক্লেশ-সুখ-প্রিয়তা’ কে সঙ্গী করে
জীবন তথা ধর্মের মূল তত্ত্বকে ভালোবাসা ও প্রেমালিঙ্গনে
নিরন্তর চালিয়ে গেছেন।
সেদিন মক্কার মাটীতেও শয়তান চুপ হয়ে থাকেনি;
ধর্ম ব্যবসায়ীদেরকে সাথে নিয়ে
সেই তথাগত পুরুষ ও অনুগামীদের উপর
যার পর নাই অত্যাচার চালিয়ে যেতে থাকলো।
অত্যাচারিত অনুগামীদের যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকলো,
সমস্ত সহ্য শক্তিকে অতিক্রম করে
‘অসৎ নিরোধী পরাক্রম’ জেগে উঠলো-
সাধারণ মানুষ হাতে অস্ত্র নিয়ে প্রত্যাঘাত হানলো।
এ ভীষণ পরাক্রম
এ যুদ্ধ, স্বার্থান্বেষী যুদ্ধ নয়, এ যুদ্ধ অস্তিত্ব রক্ষার্থে যুদ্ধ, ধর্ম যুদ্ধ-
শত্রুরা পারেনি ঠেকাতে।
যুদ্ধ শেষে, অবাক করে-
যুদ্ধ-বন্দীদের কঠিন শাস্তি নয়, ক’রে দিয়েছিল নিঃশর্ত মুক্ত।
হৃদয়ে অপার-প্রেম ছাড়া এ কি করে সম্ভব? -
সেই প্রেমে আকৃষ্ট হয়ে, যুদ্ধকামীরা হয়ে ওঠে তাঁর অনুগামী-
ধীরে ধীরে বুঝতে পারে- এতো জীবন-ধর্ম, জীবন-বৃদ্ধিকামী ধর্ম-
জীবনের সকল সমস্যার সমাধান।
তাইতো ‘ইসলাম’- ‘রামরাজ্যের’ মতই শান্তির অধিষ্ঠান।