আজ যে মেয়ে, কাল সে মাতা
মাতৃত্ব গুণে ভরা
স্রষ্টার সৃষ্টির কারিগর তারা
ধরে সৃষ্টি ধারা।
কি যে সাবধান, কি যে ত্যাজীয়ান
সন্তান সংরক্ষনায়
ঈশ্বর কেমন করুণাময়
মাকে দেখে বোঝা যায়।
মাতৃ সেবা, মাতৃ তুষ্টি
এই নিয়ে যারা থাকে
ঈশ্বরীয় গুণ তাহারা
পায় বহুগুণে।
এই পৃথিবীর গুণী-জ্ঞানী জন
যেথায় করুক অবস্থান
সকল গুণের সেরা গুণ-
তাঁরা মাতৃ-অন্ত প্রাণ।
যে মায়েরা স্বামী-সেবায়
নিষ্ঠা যুক্ত, প্রখর
সন্তানও তা’ দেখে-দেখে
হয় সহজ মাতৃ-সেবক।
এ না হ’লে সন্তানেরা
একদিন বড় নিশ্চয় হবে
মনুষ্যত্ব হারিয়ে তারা
মাকেই লাঞ্ছনা দেবে।
মাতৃত্বের অপমানে
ঈশ্বর রুষ্ট হন
প্রকৃতিও রুষ্ট হয়ে
আনে নানা বিপর্যয়।
ঋষি, মুনি, সাধক, জ্ঞানী
মাতৃ-বন্দনায় থাকেন রত
অন্তরে-বাহিরে সাম্য ভাব
রচিত হয় ক্রমাগত।
সাম্যভাবের জাগরণেই
স্বাধীনতার আসল স্বাদ
তৃপ্ত তখন সকলে থাকে
দেশমাতাও তুষ্ট হন।