এক বিশাল প্রান্তরের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে,
শব্দ য্ন্ত্র হাতে নিয়ে বেশ দরদী কন্ঠে বলল-
আমার ঘাস ভায়েরা, আমরা বহু সময় ধরে করেছি নিরীক্ষণ –
লোকে অবাধে তোমাদেরে মারিয়ে যায়,
তৃনভোজী পশুরা সব ভোঁস ভোঁস করে তোমাদেরে ছিঁড়েছিঁরে খায়,
একটু বড় হতেই তোমাদেরে কাঁচি দিয়ে কেটে নেয়,
এমন নিয়ত অত্যাচার অসহনীয়।
তোমরা নির্বাক বলে কি এমনি ভাবে অধিকার নেবে কেড়ে !
শব্দ যন্ত্রের আওয়াজ প্রান্তরের সব প্রান্তে গেল পৌঁছে ।
ঘাস সব অবাক হয়ে দ্যাখে- ওমা ওরা কারা-
সবুজ জামা, সবুজ প্যান্ট, সবুজ টুপি পরা, আমাদেরে কথা কয়।
নিজেদের মাঝে করে তাকাতাকি, শুরু হ্য় ফিসফাস।
পরে বিনীত ভাবে একটি ঘাস বলে ওদেরে-
ওগো দরদী বন্ধু সব- তোমাদের কথা শুনে আমরা শংকিত, চিন্তিত।
জন্মেছি মোরা ঘাস হয়ে, আছে শুধু গুটিকয় পাতা,
না আছে সুন্দর ফুল, না আছে ভাল ফল, কি দিয়ে করি সেবা।
শুধু পাতা কটি দিয়ে মাটি রয় কিছুটা শীতল,
তৃনভোজী প্রাণীর হয় কিছুটা আহার,
আর আমাদের শরীরে পা রেখে মানুয পায় কিছুটা আরাম।
ব্যাস্, এইতো সামান্য কাজ।
না, না, কেউ আমাদের ক্ষতি করেনি, আছি পৃথিবীর সারা মাটি জুড়ে |