একের থেকে সৃষ্টি অনেক
তবুও তারা এক
মিল থাকলেও নয়কো সমান
সবাই ভিন্ন এক।


পরম একই চিরচেতন
তাঁর ইচ্ছায় মহাশক্তি
এগিয়ে চলে ভীম গতিতে
মহাসৃষ্টির ইচ্ছা ল’য়ে।


শক্তি থেকে চেতন-কণা
তা’ থেকে হল বস্তু
বস্তুর বিশেষ সমাবেশে
জীবন পেল বস্তু।


জড় থেকে চেতন হল
শেষ নয় এখানে
চেতন থেকে যেতে হবে
চির-চেতনে।


চেতন থেকে চির-চেতন
অনেকটা পথ যে
ঘাত-প্রতিঘাত বহু আছে
এই পথেতে।


এক জনমে সম্ভব নয়
লক্ষ্যে পৌঁছুতে
জীবন-মালা তৈরী হয়
এই পথেতে।


নারীপুরুষের এই সংসার
এই লক্ষ্যেতেই
সৃজেন বিধি দয়া করে
পেতে চরমে।


ঘাত-প্রতিঘাত কত সংঘাত
কত কবিতা কাব্যে
উত্থানপতন রচিত হল
এই সংসারে।


জন্ম লয়ে ভুলে যাই
সেই চরম উৎসকে
মায়ার বাঁধনে হাবুডুবু খাই
বিষয়ে আসক্তি জড়ায়ে।


এই না দেখে চেতন-পুরুষ
সদয় হয় হাজির হন
আচরণ ক’রে দেখিয়ে দেন
লক্ষ্য ঈশ্বর, বিষয় নয়।


তাঁকে দেখে, ভালবেসে তাঁকে
ফিরে চেতনায় সম্বিৎ
কর্ম করে দায়িত্ব নেভাতে
পেতে শান্তি, স্বস্তি।


এমনি ক’রে নর ও নারী
পূরণ করে একে অপরে
বিশেষ সময়ে প্রণয় বাঁধনে
সৃষ্টি করে সন্তানে।


সমতানে গড়া নতুন জীবন
চলে এগিয়ে আরোর পথে
জীবনে জীবনে এমনি ক’রে
ক্রমে ক্রমে এগিয়ে চলে।


এমনি ভাবে আপন ক’রে
প্রেমালিঙ্গনে বুকে নিয়ে
অভিসারে এগিয়ে চলে
মিলিতে সেই অনাদি একে।।