দাদু কন বলত ভাই,
তোমরা ড্রইং খাতায়
ফুলে যে রঙ দাও
সেটাই রঙ হয়
গাছে গাছে যে ফুল ফোটে
তাতে কে রং দেয়
লাল ফুল লাল কেন
সাদা ফুল সাদা হয়?
নাতি কহে কেন দাদু-
ঐ যে আছে- “ মা হেসে কন
সোনার খোকা আছেন ভগবান
যা’ কিছু সব তিনিই করেন
সবই তাঁহার দান”।
দাদু বলেন ঠিক বলেছ
আমিও বলি তাই
আসো এবার করে নিই
বর্ণের পরিচয়।
যত বর্ণ বা রং আছে
সূর্যের আলোয় থাকে সব
সূর্যের আলোয় প্রিজম দিলে
দেখবে সাতটি বর্ণের বিচ্ছুরণ।
বেগুনী-নীল-আস্মানি-সবুজ
হলুদ-কমলা-লাল
আকাশে যেমন রামধনু হয়
ধরে বর্ণালী নাম।
এই সাত রঙের সম্মেলনে
সাদা বর্ণ হয়
সকল বর্ণের বিলয়ে
আঁধারের কালো বর্ণ হয়।
বর্ণালীর যে বর্ণ
অকাতরে বিলানো যায়
সেই বর্ণেই হয় তার
বিশেষ পরিচয়।
যে বর্ণ নিজের কাছে
লুকিয়ে রাখা যায়
সেই বর্ণে কেউ তাকে
দেখতে নাহি পায়।
লাল ফুল লাল হয়
লাল বর্ণ বিলায়ে
সাদা ফুল সাদা হয়
সাত বর্ণ বিলায়ে।
গুরুজন বলে তাই
দাও বিলায়ে অকাতরে
নিজের লাগি রেখো না কিছু
আপন ভোগ মানসে।
ঈশ্বরের যত সম্পদ
সব রপ্ত ক’রে
দুই হাতে উজাড় করা
এই বুঝি বিধাতার ইচ্ছে।
গায়ক যেমন গায়ক হয়
গান শোনায়ে
কবিতা লিখে মুগ্ধ করলে
কবি বলে তাকে।
প্রকৃতির অগাধ দান
যত সম্ভব রপ্ত করি
তাই দিয়ে সেবা দিয়ে
সার্থক তুমি-আমি।