একশৃঙ্গী প্রিয়কে লয়ে
চলে গভীর গহন বনে
যেথায় বহে নির্মল বায়ু
নিত্য দুলে বন-কুসুম
ভ্রমর তুলে মধুর গুঞ্জন
বিক্ষেপ তরে নাহি রহে কেহ-
শিব-শক্তি সেথা
কেবল হয়ে করে লীলা
সৃষ্টি হয় নতুন রচনা।
***
মাতা-পিতা এক হলেও
সন্তান দেহে-মনে ভিন্ন রূপ
যেমন একই কবি কবিতা রচেন
ভিন্ন ভাবের ভিন্ন স্বাদের
যেমন রাবণ-কুম্ভকর্ণ-বিভীষণ
মায়ের ভিন্ন ভাবের প্রতিফলন।
***
ভাবই মূলধন করিতে রচন
মন সংযোগ যেমন প্রকাশ তেমন
সুকেন্দ্রিক হলে সৎ-এর প্রকাশ
রচনা হয় সহজ-সরল-চিরন্তন।