আনন্দ


গ্যাংটক থেকে শ্যালক নিয়ে এসেছিল একটা অর্কিডের কন্দ,
আমি একটি ফুলের টবে লাগিয়ে দিই,
ধীরে ধীরে পাতা বের হয়,
এক সময় গাছ পূর্ণ অবয়ব নেয়,
ফি-বছরে অনেক গাছ হয়, কিন্তু ফুল নেই।
ফুল আসবে কি?
এই প্রশ্ন, আশঙ্কা আর অবশেষে অবসাদে পেয়ে বসে। এক সময় ‘আমাকে আমার মত থাকতে দাও’ -এমন গোছের অবস্থা।
দীর্ঘ বারো বছর পর এবার বসন্তের ছোঁয়ায়
ফুলের কলি দেখে সত্যি খুব আনন্দ হয়।
আজ যখন ফুল সম্পূর্ণ ফুটেছে তখন আনন্দে হোয়াটস-এপ ও ফেসবুকে ছবি পাঠিয়ে
ফুল দেখার জন্যে আমন্ত্রণ জানাই।
কিন্তু ঐ মহিলার কথা ভাবুন-
বিয়ের পর দীর্ঘ পনেরটি বছর কাটিয়ে
যখন প্রথম সন্তান ধারণ করেন
তখন তার মনের কি অবস্থা,
সকল অবসাদকে জয় করার কি আনন্দ,
কত স্বপ্ন তার;
কিন্তু অভিমানী ডায়াবেটিসকে উপেক্ষা করার জন্য
হাই ব্লাড-সুগারের প্রভাবে
মাত্র আড়াই মাসে গর্ভপাত হয়ে যায়;
এনাস্থেসিয়ায় আচ্ছন্ন অবস্থায়
মহিলাটি বার বার বলতে লাগলো
ডাক্তার বাবু আমায় কেন মা হতে দিলেন না.......।
শুধু প্রবোধ দিয়ে ওনাকে বলেছিলাম-
ঈশ্বর আপনায় দেখিয়ে দিলেন
আপনিও মা হতে পারেন।
এটাই আনন্দের কথা।
এবার আঁট-ঘাট বেঁধে তবেই লড়াইতে নামতে হবে, আমাদের সাহায্যের হাত থাকবে। রাত ৯ টা, ২১.৩.১৭