সাম্য মানে সমান নয়কো বরং সমতা
সমগ্র কাজ সরল ভাবে যেন হয় সমাধা।
প্রকৃতিতে হরেক সৃষ্টি, হরেক গুনে ভরা
একই অঙ্গে, নানা উপাঙ্গ, নানা স্বাতন্ত্র্যে গড়া।
কেউতো নয় উপেক্ষার বস্তু, আছে আপন মান
সমগ্রের সহায় লক্ষে, ধরে আপন প্রাণ।
যে যেমন সে তেমনি নেয়, অতি বেশী-কমে রুগ্ন
বাঁচিয়ে রেখে, বাড়িয়ে তোলা- সাম্যবাদের মর্ম।
প্রকৃতিতে নিত্য বহে সাম্যবাদের ধারা
কণা থেকে মায় ব্রহ্মাণ্ডে আছে বজায়ে সমতা।
সাম্যবাদের মূলে আছে, এক কেন্দ্রীয় টান
পরস্পরের টানে, রক্ষা হয় আপন অবস্থান।
সূর্যকে কেন্দ্র করে চলে পৃথিবী আদি  সৌর-গ্রহ
নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্রে রেখে একটি পরমাণুর অস্তিত্ব।
জীবন-কেন্দ্রে যদি রয়, জীবন্ত অখণ্ড-ব্যক্তিত্ব
বিবেক-অহং-মন-বৃত্তি, একযোগে পূরণ করে অভীষ্ট।
সাম্যবাদ সোচ্চারে বলে- তুমি নও একা, সবার তরে তুমি
সাম্যবাদী ভাবে- গৃহ, সমাজ, রাষ্ট্র – সকলকে  নিয়ে আমি।