শিব-কৌড়ীতে যাওয়া যদিও আমাদের ট্যুর প্লেনে ছিলনা
আমাদের ট্যুর ট্যাক্সি ড্রাইভার- রাহুলজীর অনুরোধে
পাটনীটপে না স্টে করে, শিব-কৌড়ীতে রাত্রি যাপন করি।
পরদিন স্নানাদি সেরে শিব-কৌড়ী দর্শনে পায়ে হেঁটেই
যাবার মনঃস্থ করি, কেননা পহেলগ্রামে পাঁচ কিলোমিটার
ঘোড়ায় চ’ড়ে পাহারের খাদে খাদে এক দুর্গম রাস্তায় চলে
মিনি-সুইজারল্যান্ড দেখতে গিয়ে গিন্নীর ব্যাথা ও ভীতি।
দীর্ঘ সাড়ে তিন কিলোমিটার পাহারের চরাই রাস্তায়
জিরিয়ে জিরিয়ে যখন মন্দিরের প্রবেশের সিঁড়িতে উঠে যাচ্ছি
দেখি ওখান থেকে এক গুহা শুরু, সকলেই যাচ্ছে।
কিন্তু গুহাটি এমনই উঁচু-নিচু, বাঁকা-তেরা ও আলো-বাতাসের অভাব যে
এক সময় আমার গিন্নী বলে ওঠে, না আমি আর যাবো না।
আমি পেছনেই ছিলাম, গিন্নীকে বলি- সকলেই যাচ্ছে, তুমিও যাও,
এখান থেকে পিছু হটবার উপায় নেই,
কোন কথা না বলে, ইষ্টনাম মনন কর, আর ভালমতো দেখে
নিজের শরীরকে যে ভাবে নমনীয় করে ধীরে এগোন যায়
সে ভাবেই এগিয়ে যাও। এক সময় ছেলের হাতে জলের বোতল দেখে বললাম
বাবা, এটা এখানেই ছেড়ে দাও, মনে হয় সামনে আরও দুর্গম।
এভাবে ধীরে ধীরে বিভিন্ন লেভেল অতিক্রম করে, অবশেষে
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক -অর্ধ নারীশ্বর দর্শন- যেন সৃষ্টির প্রথম ধাপ-
অর্ধ নারী, অর্ধ পুরুষ- এ দুইয়ের সম্মিলনে এক পূর্ণাঙ্গ সৃষ্টির প্রারম্ভ-
যা’ প্রতিটি জীবনের এক বিশেষ প্রস্বস্তি।