"মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি"


রচনাকাল: ১৬/১০/২০২২
রচনায়: প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
পিএইচ.ডি. (ঢাবি)


সাগর জলের বিশালতা দেখা হয়নি চক্ষু মেলে
সাগর সম উদারতা দেখছি মায়ের কোমল দেলে।
হৃদ সাগরে অশান্ত ঢেউ ও ঝড় বাদল বয়ে চলে
নির্ঘুম নিশি কেটে চলে ছেলে মেয়ের অসুখ হলে।
কালো মেঘের ছায়া পড়ে চাঁদের মতো চেহারাটায়
শ্রাবণ ধারা বয়ে চলে অপলকে আঁখি দু'টায়।


টাইটানিকতো দেখা হয়নি দেখছি বিশাল সংসার তরি
এ তরণীর হালখান ধরতে দেখছি তাঁরে নয়ন ভরি।
ভরা তরি উজান দিকে টেনে হিঁচ্‌ড়ে বাইতে বাইতে
হাতে পায়ে কড়া পড়ে গুণ ও দাঁড়খান টানতে টানতে।
তাও থামায়নি দাঁড় ও গুনখান টানাটানির কঠিন খেলা,
তিরে এসে ভিড়ে তরি জীবনের শেষ বিকেল বেলা।


তেরেসাকে দেখিনি তো দেখছি মায়ের অন্তরের বল
একাত্তরে মায়ের রক্ত মুছে দিতে ছিলেন অটল।
মুক্তি পাগল মুক্তিযোদ্ধার স্নেহ সেবায় দেখছি তাঁকে
স্বাধীনতার জন্য সবার মানস পোটে ছবি আঁকে।
মা জননীর ক্ষত মুছে ভারত থেকে বিজয় বেশে,
ফিরে এসে সংসার তরির হালখান ধরেন স্বাধীন দেশে।


শরৎ রাণীর হৃদয় ভরে ভেসে বেড়ায় মেঘের ভেলা
ভেলার ফাঁকে জোছনা হেসে মায়ের মনে করে খেলা।
খেলার বলে জ্ঞান-বিজ্ঞানের তরি মোদের এগিয়ে যায়
পূর্ণিমার চাঁদ উঁকি মারে তরি যখন কুলে ঠাঁই পায়।
চাঁদের আলোয় আলোকিত রাস্তা ধরে হাঁটছি সবাই
জ্যোৎস্না মাখা গুচ্ছ ফুলের শুভেচ্ছাটা মাকে জানাই।