"মেধা পাচার রোধে করণীয়"


লেখক: প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
কবি, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।


বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও দক্ষ জনশক্তি উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ বা প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে গেলে ফিরে আসতে চায়না এধরণের ঘটনা কে মেধা পাচার বা ব্রেইন ড্রেইন বলা যায়।
মেধা পাচার রোধে করণীয়:
এদেশের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা পাঠ্যক্রমে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। বিষয়ভিত্তিক পাঠ অনার্স ১ম ও ২য় বর্ষে শেষ করে বাকী ৩য় বর্ষ, ৪র্থ বর্ষ. এমনকি মাস্টার্স ফাইনালেও গ্রুপভিত্তিক ক্ষেত্রবিশেষে একক গবেষণা পাঠ্যক্রম চালু করা যায়। ৩য় বর্ষের গ্রুপ ভিত্তিক গবেষণা প্রজেক্ট টি ৪র্থ বর্ষে স্থনান্তর হবে অত:পর মাস্টার্স ফাইনালে সেটা মাঠ পর্যায় যাবে এবং উৎপাদনমুখী হয়ে মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে। ফলে প্রত্যেকে নিজের বিষয়ের অব্যবহৃত ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে পারবে, কাজেও দক্ষতা অর্জন করবে এবং কর্মক্ষেত্রের পরিধি বুঝে অনেককে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।
ভালো প্রজেক্ট দিতে পারলে ব্যাংকগুলো অল্প মুনাফায় ঋণ দেয়ার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং অর্থ কোন বিষয় নয়।
সমস্যা হলো দক্ষতা অর্জন এবং কর্মক্ষেত্র চিহ্নিত করা।
উপরে উল্লেখিত ভাবে পাঠ্যক্রম প্রনয়ণ করলে এ সমস্যা অতিক্রম করা যাবে। মেধাবী সহ দক্ষ লোকজনের  সমুদ্রের অপারে পাড়ি জোমানো হ্রাস পাবে।
অত্যন্ত মেধাবী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ গবেষক, ডক্টর ও ইঞ্জিনিয়ার যারা বিদেশে গিয়ে ফিরছেন না অর্থাৎ ব্রেইন ড্রেইন হচ্ছে এটাও ক্রমান্বয় হ্রাস পাবে।


সুতরাং বলা যায় গড়ায় গলদ সারতে পারলে অর্থাৎ শিক্ষা পাঠ্যক্রম আমূল পরিবর্তন করতে পারলে এ মুক্ত অর্থনীতির যুগে ব্রেইন ড্রেইন রোধ করা সম্ভব হবে।


কপিরাইট আইনে সর্বস্বত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রফেসর বাড়ি, যোগীবাড়ি, দিনাজপুর, বাংলাদেশ।
তারিখ: ৩০/০৭/২০২৩