"নিসর্গের সমাধি"


রচনায়ঃ প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
                   পিএইচ.ডি. (ঢা.বি.)


বাষ্প বিজলি কয়লা শক্তি সব শক্তিরে নয় ভক্তি
দহন দুহিতায় উৎপত্তি,
অক্সিজেন খায় পবন গঙায় জ্বালায় বিষের আরতি
দিশা হারা প্রাণ শক্তি।


হলো আবিষ্কার পাবকের আকার ধরণী তলে
জননীর কোলে আগুন জ্বলে,
প্রাণের প্রাণ ধাত্রী অগ্র পথের যাত্রী মরছে অগ্নি জ্বলে
ধরা তলে সমীরণের কোলে।


প্রাণধাত্রীর ভ্রমণ বিহার বাধার মুখে বারবার মেলেনা
পেখম নীল নীলাম্বরে,
মাজননীর শ্যামল বদনখানা স্নিগ্ধ হাসি আর হাসেনা
অনুক্ষণ প্রাণ ভরে।


দুরাচার পাষণ্ড দখল করে বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ড কার্বনের মন্ড
পবন গঙায় ভাসে বারবার,
নীল নীলিমায় নীরদের লুকোচুরি খেলা বন্ধ
ফেটে চৌচির নীরাধার।


জয়ের নেশায় নিসর্গরে পথে বসায় বহুবার
মুছে ফেলে নৈসর্গিক বাহার,
নিষ্ঠুর কুঠার নিষ্ঠুর হস্তে ওঠা নামা করে বারবার
সাবাড় করে প্রাণ ধাত্রীর আধার।


সভ্যতার নামে অসভ্যতা সর্ব জনের ভাগ্য দাতা জীববৈচিত্র্য
দিলাম বলি বারবার,
পরিশোধনের রূপককার অরণ্যকে বারবার করি সংকুচিত
নিজ পায়ে কুঠার ঘাত আবার।


অরণ্য হারা আজ মোরা পাষাণে ভরা
ঠাঁই বিলোপের সামিল,
নিজ হস্তে রচিতেছি নিজের সমাধি মোরা
খাচ্ছি জলের ঝিল।


বিষেশ জ্ঞানের বন্যায় বিসর্জন দাও কদাচার অন্যায় সর্বদা
শ্যামলীমার শ্যামল কোলে,
সেই বীণার সুর বাজাও সুমধুর নেই কোন বাধা
জননীর শ্যামল আঁচলে।