বিংশ শতাব্দি চলে গেছে,
একবিংশ শতাব্দি এসে পড়েছে।
একবিংশের দুটো বড়ো চ্যালেঞ্জ,
জঙ্গী দমন জলবায়ু চেঞ্জ।


জঙ্গীবাদ জন্ম নিয়েছে,
নাশকতায় দুনিয়া ভরে গেছে।
সৃষ্টি কি এরা জানে না,
ধ্বংসই এদের মূল কামনা।


যুজে চলার নাম জীবন,
আনন্দ আনে উদ্যম।
কর্মের মধ্যে থাকে সুখ,
অলসতায় যত দুঃখ।


সৃষ্টি রহস্য আনন্দ বেদনা,
জীবের জন্ম দুঃখ যন্ত্রনা,
মায়ের লালন পালন,কষ্ট ব্যাথায়
জঙ্গী ! তোমার জন্ম হলো কোথায় ?


ধাঙড় জঙ্গী তোমার গুরু,
নৃ-সংসতায় জীবন শুরু,
ধ্বংশ নাশকতা তোমার কর্ম,
পাশবিকতা তোমার ধর্ম।


নাশকতায় নৃ-সংসতায় ভরা,
জঙ্গীর লক্ষ্য মারা কিংবা মরা,
জীবন ও গড়ন এরা বুঝেনা,
মরন ও ভাঙন এদের পরিকল্পনা।


প্রচন্ড উষ্ণায়ন চললে,
হিমবাহ গলতে থাকলে,
সমুদ্রের জলস্ফীতি ঘটলে,
ভূমি নিমজ্জিত হবে সমুদ্র সলিলে।


চললে প্রচন্ড উষ্ণায়ন,
ঘটবে ওজন স্তরের ক্ষরন,
হবে বেগুনি রশ্মীর পতন,
এতো জীব জগতের মরণ।


ঘটবে না ঋতুর তেমন পরিবর্তন,
সারাক্ষন চলবে উষ্ণায়ন,
দূরারোগ্য রোগ ব্যাধি আসবে,
জীবন অস্বস্থিতে ভরে যাবে।


ঘন ঘন নিম্ন চাপ,
বাড়বে শুধু বজ্রপাত,
মানুষ প্রানী যাবে মারা,
কখন বন্যা কখন খরা।


গাড়ি বোমা ভাটা চুল্লী,
কমাবে কী উষ্ণায়ন ?
ধরায় স্বস্তিতে যাবে
কী প্রানীর জীবন ?


ধরায় থাকবেনা উষ্ণায়ন
কমাও শহরায়ন ও শিল্পায়ন,
বন বাঁচান সবুজ বাড়ান
সবুজ হলো মোদের প্রান।


কমাতে বিশ্ব উষ্ণায়ন,
প্রয়োজন জলবায়ুর পরিবর্তন।
চাই বিশ্ব সমর্থন,
এ কাজটি হবে কখন ?


হিম বাহ জল বায়ু আলো,
বিশ্বের সকল জীবের ভালো।
উষ্ণায়নে দূরারোগ্য রোগ,
সন্ত্রাস কে সবাই করো রোধ।


সাম্রাজ্য বাদ আর নাই,
নেই জাতীয়তা বাদের উগ্রতাই,
বিশ্ব বাসী মোরা ভাই ভাই,
সারা বিশ্ব ময় পরিবার একটাই।


কোনো দেশ বিপন্ন হলে,
ভূমিকম্প মহামারি দেখা দিলে
সকল দেশের সাহায্য মিলে,
বিশ্ব ভাতৃত্ব আছে বলে।


একবিংশ শতাব্দির বড় সংবাদ,
সেতো হলো মানবতা বাদ।
বিশ্বমানবতায় হয়ে উদ্বুদ্ধ,
উষ্ণায়ন ও  সন্ত্রাস হবে রুদ্ধ।



রচনা - ২২/১০/২০১৮