বৈশাখ মাসে গিয়েছিলাম মনিপুর বেড়াতে,
মাঠে দেখলাম না কোন গরু মোষ চরতে।
সারা মাঠ ঢাকা শুধু সবজি বাগানে,
সাথে নিয়ে ছিলাম আমি, নাতি শোভনে।
লঙ্কা বাগানে ঢুকলাম দুজনে,
কি সুন্দর লাগছিল ক্ষেতটি সূর্যের কিরণে!
কিছু লঙ্কা পাকা আর, কিছু লঙ্কা কাঁচা,
লাল রঙে সবুজ রঙে কি সুন্দর ছবি আঁকা!
তারপর গেলাম মোরা কুমড়ার ক্ষেতে,
সুন্দর হলুদ রঙের ফুল ফুটেছে তাতে।
সবুজ হলুদ বর্ণের কুমড়া রয়েছে থরে থরে,
দেখলে মানুষের মন আনন্দে তে ভরে।


এর পরে গেলাম মোরা পটলের ক্ষেতে
সবুজের এক সমারোহ দেখলাম তাতে।
পটল ফেলেছে সেথা কি অপূর্ব শোভা!
এমন সুন্দর দৃশ্য আর দিবে কেবা!
ধাড়ুশের ক্ষেতে গেলাম পায়ে পায়ে হেঁটে,
কি সুন্দর ফুল ফুটেছে চারিধারে মাঠে!
দেখলাম সেথা একদল ছেলে বেঁটে বেঁটে,
ঝাকা ঝাকা ধাড়ুশ তারা ভরছে সেঁটে সেঁটে।
তারপর গেলাম মোরা আর একটু এগিয়ে
পুই শাকের ক্ষেত দেখলাম দু পা বাড়িয়ে।
ক্ষেতে দশ পনেরো ফুট পুই দাপটে বেড়েছে,
ক্ষেতের চাষী সব গাড়ি বোঝাই করছে।
পাশে আছে নোটে ক্ষেত কিবা তার শোভা!
লাল রঙে নীল রঙে কি সুন্দর ছবি আঁকা!
তারপর গেলাম মোরা ঝিঙে উচ্ছের ক্ষেতে
সুন্দর সবুজ উচ্ছে ঝিঙে ফলেছে তাতে।
সোনালী রঙের ফুল ফুটেছে মাঠ ভরে,
ভ্রমর মৌমাছি তাতে উড়ছে গুন গুন করে।


অগ্রহায়ণ মাসে গিয়েছিলাম নীলগঞ্জের মাঠে
সারা মাঠ ঢাকা ছিল আলু কপি বীটে।
আলু চাষে ভরেছিল মাঠের অর্ধেক,
নীলগঞ্জে কেটেছিল মোদের দিন তিনেক।
অর্ধেক অংশ চাষ ছিল কপি সরষে বীটে,
কি সুন্দর লাগছিল সর্ষের ক্ষেতে!
মনে হচ্ছে সরষে ক্ষেতটি সোনা দিয়ে মোড়া,
দর্শককে ডাকলে, পাব নাকো সাড়া
পালক টমাটোর ক্ষেতে গেলাম এর পরে।
মাঠভরা সৌন্দর্য দেখে মন আনন্দে ভরে।
পালং শাকের ছড়াছড়ি কিবা তার বাহার,
লোথা লোথা টমাটো যেন লাড়ু সোনার।


শোভন তুমি দুবার এলে আমার সাথে,
সবজি ক্ষেত দেখে কি শিক্ষা পেলে এতে?
শোভন বলে- ক্ষেতের সৌন্দর্য্যে ভরে মন,
পেট ভরে সবজি তরকারি খাই যখন।
প্রতিদিন রুটি ভাতে সবজি খাব মোরা
শাক সবজিতে আছে ভিটামিন ভরা।



রচনা - 29/07/2017