সুখ-দুঃখ আছে জগতে
চক্রাকারে ঘুরছে ধরাতে
সম্পদশালী হলে মানুষ
চারিদিকে তার থাকে হুঁশ
সেখানে তখন বিরাজ করে সুখ,
হুঁশ হারিয়ে হলে বে হুঁশ
তখন বিপাকে পড়বে মানুষ
চারিদিকে দেখবে অন্ধকার
হালটে মাটি পাবে না আর
তখন চলে গিয়ে সুখ আসবে দুখ।


সুখ দুঃখ দুই ভাই
জানে সকলে সব্বাই
দুজন একত্রে থাকে নাই
থাকে সদা আলাদাই
মানুষ হয়ে আমরা বুঝি নাই,
প্রাচুর্যে সুখ থাকে
দুঃখ উঁকি মেরে দেখে
প্রাচুর্য আনে অলসতা বিলাসিতা
দুঃখ প্রবেশ করে তখন সেথা
মানুষের সদা হুঁস থাকা চাই।


দুঃখের সাথে লড়াই করে
সুখ এনেছে যে নিজের ঘরে
দুঃখ সেথা করেনা বিরাজ
চেতনা সেথা সদাই সজাগ
সদা সেথা থাকে কর্ম ও ভক্তি,
কর্মের মধ্যে জিব সজাগ থাকে
কর্ম ছাড়া হলে সে
কলুষতায় ঢাকে
কর্ম ধরো কর্ম করো কর্ম হলো সার
কর্ম না করিলে জীবন হবে অন্ধকার
সুকর্ম থেকে হয় জীবের সদ্গতি।


সুকর্ম থেকে জীবের চিত্তশুদ্ধি ঘটে
কলুষতা তখন দূর পথে হাঁটে
বিরাজ করে  মনে সদা প্রশান্তি
তখন সেথা উদয় হয় ভক্তি
মানুষ হয়ে মোরা কেন নির্বিকার থাকি!
রিপুর বশে মোরা সর্বদাই চলি
কুকর্মে মজিয়া মোরা বিলাসিতায় ঢলি
চিত্তশুদ্ধি হলে সেথা রিপুর স্থান নাই
কাম ক্রোধ লোভ বলে পালাই পালাই
ভক্তি ঘটতে মানুষের থাকবে কেন বাকি?


সুখের আশায় মানুষ চলে রিপু বশে
সেইক্ষনে তারে দুঃখ এসে গ্রাসে
রিপু থাকলে মানুষের থাকেনা চেতনা
চেতনা বিহনে মানুষ পায় যমের যাতনা
মানুষ হয়ে হইও না বেহুঁশ,
বিবেক হলো মানুষের চেতনার ফল
যার তরে রিপু হয় যে বিকল
রিপুর বশে মানুষের থাকেনা হিতাহিত
বিবেকের কাছে রিপু থাকে প্রশমিত
বেহুশ হলে তুমি হবে না মানুষ।


রিপুর বশে চলে যারা
বড় দুঃখ পায় তারা
পর নারী হরণ করে
লোভের বশে ভাইকে মারে
কত অঘটন ঘটায় তারা,
ক্রোধের হুতাশনে পুড়ে
ঈর্ষা হিংসা অগাধ বাড়ে
নিজেকে সদা বড় ভাবে
ভাবে না সে- মরন হবে
এদের কী আছে? দুঃখ ছাড়া!


সুখ যখন মানুষের কাছে আসে
ধন-সম্পদের জোয়ার তখন ভাসে
সেই জোয়ারে নিজেকে না ভাসাই লে
অহংকার গর্বের কাছে মাথা না নোয়াইলে
সুখ অটল থাকে মানুষের দুয়ারে,
জীবে দয়া জীবে সেবা আর গুরুভক্তি
সেই মানুষের অন্তরেতে আছে অটুট শক্তি
সেই ব্যক্তি যতদিন থাকবে ধরাধামে
সুনাম সু-যশ বাড়বে তার নামে
সুখ ও শান্তি পাবে সে সর্বত্র বিহারে।



রচনা - 07/01/2019