এখানে বর্ষায় বৃষ্টি আর মাটির স্পর্শ কর্দমাক্ত
তুমুল বৃষ্টিতে গাঁ’য়ের মানুষ ওমের দরজায় না ঢুকে
ভিজে ভিজে অনুভব করে বৃষ্টির বীকন ছন্দ
কয়েকটি গাঁ বর্ষার ফ্রেমে একত্রিত হলে
কাঁচা পাতির চা পানের মতো ছন্দে ছন্দে দোলে গাঁ-গোত্র
আমিষের অভাব নেই- সব্জিও ক্ষেতে ক্ষেতে
কাঁথার ভেতর অলস মুড়িয়ে রেখে শুভন সকালে
বিস্তৃর্ণ মাঠে কৃষক বুলিয়ে দেয় হাত ও চোখের অন্তঃমিলন
শিশু-কিশোরের বৃষ্টিস্নান পুকুরের মাছের মতো লাফিয়ে ওঠে
অমনষ্ক পৃথিবীর প্রাচীন আবহ কিছুটা মেঘের ফাঁকে রোদের জানালায়
এখানে-সেখানে জমা পানিতে তুলির আঁচড়ের মতো ডিমেড অথবা
কিছুটা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বৃষ্টি নূহ্য গাছ
যেনো ভেঙে যাওয়া সত্য নয় এসব, আদি ও দৃশ্যিত সত্য
গাঁ’য়ের মানুষের পা- শহুরে মানুষের পা’য়ের মতো পাথুরে নয়
মনোজ মাটির সম্পাদক- সে প্রায়শই বলে-
কাজে-অকাজে খুশি-অভিমানে সারাদিন নাকি তারা তরতর করে
দেখুন প্রতিটা ভ্রুণ একেকটি আকাশের তারা ঝুলন্ত অথচ সাবলীল
এখানে ধীর সময়ের সন্তান নয় কেউ
কর্দমাক্ত, উষ্ম অথবা শীতল সবকিছুর স্পর্শেই বেঁচে থাকে
সন্ধ্যা এলে মনে হয় কোনো এক আলোহীন ঘরের দরজা খোলে যায়
তারপর একরাত কারো সাথে কারো- সহসায় দেখা হয় না।