একদিন ভেঙে যাব, টুকরো টুকরো
বর্ষা বেলায় বৃষ্টি হয়ে মিশে যাব বৃষ্টির ভেতর
যেখানে শ্বাস ফেলে গাঙচিল
যেখানে ফিরে আসে নিমগ্ন সন্ধ্যার
জ্বলে যাওয়া ধূপকাঠি ঘ্রাণ,
চোখ পেতে নেব শব্দের ঝাড়বাতি আলো।
আর বুকে গজানো ঘাসফুলের চোখে
চোখ রেখে বলব, আমিও তোমার মতো
আমিও গন্ধ বিলাই, বৃষ্টির মুখে আমিও শুনি
ঝরে যাওয়ার অস্ফুট উচ্চারণ।
কিন্তু দেখো কতো ব্যবধান
তোমার ভেতরে বাস করা অক্ষয় স্মৃতি
তোমার ভেতরে চীর বসন্তের উদযাপন
কখনও আমার অভ্যস্ত আনন্দ হয় না।
নিজের শরীরে তাই বৃষ্টি মাখি
বৃষ্টি মাখি সোনালি সকাল রোদে
ভেঙে খানখান উপমা ছোঁয়া বোধে।
নিজেই দেব নিজেকে ভেজা আলো
আলোর নিচে আমার পায়ের চিহ্ন,
রয়ে যাবে বয়ে যাবে, অনন্ত বৃষ্টির পানে।
সে-বৃষ্টির চোখের ভেতর মায়া
মায়ার ভেতরের ছায়া গায়ে মাখি
তবু এ বৃষ্টি, বৃষ্টির সলিল উদারতায়
কবিতার অক্ষরগুলো মিশে যেতে চায়।


(১৮/৫/২০২৩)