তারার আলোর মতো এসেছিলে তুমি
এইসব মানুষের নিঃশ্বাসের চোখে বিলুপ্ত ধ্যান হয়ে
যুগান্তরে পেয়েছিল আলোর গতি ছুঁয়েছিল ছায়াপথ
মুকুলের ঘ্রাণে নবান্নের মদিরতায় বহুদিন মেতেছিলে
বধূ তুমি যার কথা ভেবে ছেড়েছিলে সুদিনের ঘর
যার ছায়ায় দেখেছিলে আশ্রয়ের অভ্যস্ত ঝড়।
সে-ও আজ মিশে যেতে চেয়েছিল, প্রসন্ন অধিকারে
তারে দিয়েছিল মৃন্ময় নীল হতে নীলতর ধ্রুবতারা ধরে।
যত অন্ধকারে প্রবাহিত সোপান কণ্ঠ ধ্বনিময়
খুঁজেছিল পরিচয়, বিষন্ন সন্ধ্যার কাছে।
সাদা বালুচর, নির্ভরতা বলে আমি আস্থাহীনের সঞ্চয়
বধূ নিভে যেও না অন্ধকারে, ডুবে যেও না তৃষ্ণা জলে
দেখো দীপ জ্বেলে আছে শুয়ে অমারাত্রি, সমুদ্রসম বিনয়
খুলে রেখেছি তোমার অলংকারে। শান্তপথিক ভাবে কেন
শান্ত হরিণের মতো থেমে থেমে পেছনে তাকিয়েছি,
যারা এসেছিল গুপ্তধন ভেবে তাঁরা সমুদ্র হয়েছে কবেই।
শুধু তুমি আর আমি বনপথে হরিণ শাবক সেজে
শুকনো ঘাসে খুঁজেছি হিরন্ময় নীহারিকা।
মৃত জিহ্বাও তোমার স্বাদ খুঁজে পায়
বালি খুঁড়ে পায় চাঁদ, তবু কি তুমি সমুদ্র চাইবে না?
না কি হারানো স্বজন ভুলে, পেতে চাও নবীন দেহের দহন
যেখানে গড়েছে মনন, দীর্ঘ লালিত কবিতাকুঞ্জ।