(‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ হতে প্রাণিত)


ঝরা পাতার প্রান্তরে
শুধু মর্মর ধ্বনি,
আমার অলোকে লুকিয়ে সদা
কান পেতে শুনি।


এ-কোন সুপ্ত ধ্যান
দিব্য আলোর রেখা,
মিশেছে আঁধার বনে
শূন্যতায় একা একা।


উদয়ের কণ্ঠে আজ
ঘৃতাহুতি মন,
পুষ্পিত উপাচারে
মোহিত পবন।


চাঁদ ভাসে শিশু হাসে
মধুকুঞ্জে গত দিন,
শোভা ভরা তপোবনে
ভুলে যাওয়া শত ঋণ।


হেমন্ত মায়া ডাকে
উচ্চারিত প্রেম-উদ্যান,
শকুন্তলায় সমাগত
আঁচলে বাধা উপাখ্যান।


সুদূর অযোধ্যা হতে
জয়ী তরবারি,
কতদূর বিরাজিত
মোহময়ী নারী।


পত্র পল্লবে আজ
তারই জয়গান,
যতদূর শোনা যায়
এই আহ্বান।


শরৎ আনন্দে কে
ফেলে গেল রব,
হৈমন্তী লগনে বাজে
তারই কলরব।


একদিন বহুদিন
বহুপথ ফেলে,
দেখা হবে নিশ্চয়ই
শালিকের দলে।


চিরদিন তুমি রবে
শকুন্তলা বেশে,
মেঘবতী রবে তুমি
মেঘেদের দেশে।


অকাল বৃষ্টি যদি
হয় গো ক্ষরণ,
মর্তলোকে তোমায়
করিবে বরণ।


দুষ্মন্ত নাই-বা হলাম
সাধারণ জনে,
কত দীপ জ্বালালাম
মন তপোবনে।


হাজার আলোক শিখা
যাবে বয়ে বয়ে,
গুণগান তোমারই
একাকার হয়ে।
            
          (২৬শে অক্টোবর, ২০১৯)