এবার তুমি ঘুমাও
অনেক জাগিয়ে রেখেছি প্রহর
কত যুগের ঘুম হন্যে হয়ে দুয়ারে জাগ্রত
উড়ন্ত পাখির ডানায় দিয়েছি লিখে
যা কিছু সমাপ্ত শরতের সাদা পাতা।


জমাট অন্ধকারে প্রোথিত মুক্তির গান
এবার আর জাগাব না,
অরণ্যে ভাসমান বৃষ্টি ধোঁয়ায় ক্ষীণ চোখে
শুধুই করেছি বন্দনা অনাগত উৎসবের
রঙ্গিন প্রভাত আসবে নিয়ে প্রাণে উন্মাদনা।


সে-সকাল কে অবহেলায় রেখো-না সরিয়ে
বরং এ উৎসব দিবসে শিশুর সাথে হও শিশু,
রাত জাগা পাখির সাথে হও পাখি
শুনবে কে যেন গাইছে মৃদু স্বরে
তমাল তলে, মশাল জ্বলার গান।


পূর্ণিমা ভরা তিথির অন্তনাদে
রাত ঘুম দিয়ে নয়, জাগরণে স্থিমিত করবে
নির্ঘুম তারার ঝরে পড়া বিচ্ছুরণ।
সদূরের জানালায় মধু-জোছনায় গ্রিল জুড়ে
সংবৃত স্বপ্ন, উৎসারিত করো ক্ষণিকের তরে।


আমি আনন্দ সংসারে ভরা পদ্মায়
রুপালী স্বপ্নে মিটিমিটি জ্বলা বাতিঘর;
যতটা পার মুঠো ভরা ধান ভরিয়ে দাও
ছড়িয়ে দাও দীর্ঘ সুদিন
জেগে ওঠা বালুচর, আলোক শস্যে।


যে অসম যুদ্ধে তুমি ঘুমিয়েছ পক্ষকাল
তা আজ থেমে গেছে শুক্লপক্ষের সন্ধিক্ষণে
ইথারে ভাসমান শান্তির ঠাণ্ডা বাতাসে,
সুরভিত শিউলি শিশিরের সুঘ্রাণে
ঘুমাও যতটা চেয়েছ অনাদিকাল।


আমি ক'দিন থেকে চলে যাব সরে
যাপিত জীবন বাউল বেশে,
ঘুরে ঘুরে অনন্তকাল স্মৃতির পথ ধরে
আবার জাগাব তোমায়
আর এক শরতের কুয়াশা ঢাকা ভোরে।
                                                          
(৩রা অক্টোবর, ২০১৯)