কখনও কি দেখেছ
আধো উন্মেলিত চোখে রোদ্দুর হয়েও নীলআলো
জন্মান্ধ গাছের হাসির আড়ালে করেছিল পদাবলী কীর্তন।
চোখ মেলে করোটির অসহ্য যন্ত্রণায়
খোলা আকাশ গাছের কাছে বেচেছিল আয়ু।
আলো এসেছিল নিন্দুকের পায়ের সাথে
কবিতার সাথে অকবিতা করে চুক্তি
ধ্যানরত বুদ্ধ অবিকল অপেক্ষা করে
আর কতকাল পরে আসবে মহাকাল।


কখনও কি জেনেছ-
ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ অবিশ্রান্ত জলাধার হয়ে
বার্লিনপ্রাচীর ভেঙ্গেছিল মানুষ।
অমানুষের সাথে যুদ্ধরত আত্মার জয়োল্লাস
দেখে, জন্মান্ধগাছে ফুটেছিল ফুল।
সাহারার বুকে ক্ষুধার ঝড় তুলে
পথভোলা পাখির চিন্তার খাঁজে আশ্রয় হয়েছিল
মৃতসাগরের বেঁচে ওঠার ইতিহাস।
কবির সাথে কবি, ঋতুর সাথে ঋতু
তর্ক করে, প্রশ্ন তুলে কবিত্বশক্তির অগ্নিপরীক্ষা
কতকাল দেবে সীতা।


কখনও কি ভেবেছ
অগ্নিরথে এসেছিল যত অশ্বারোহী
জীবনের প্রবল আকাঙ্ক্ষা গিরিখাত ভেবে
ফিরে গিয়েছিল অনায়াসে।
তবু তুমি নীরব
তাঁদের কাছে মহান তুমি, তাচ্ছিল্য কর
নীলকণ্ঠের সাথে তুলনা কর নিজের মমত্বের
দেখবে, একদিন আগুনও দপদপ করে নিভে যাবে
আহ্লাদ হয়ে মহাজীবনের কাছে।


(২২শে মে, ২০১৯)