সৃষ্টিই যখন সুন্দর, আকাশ বাতাস জলে
নদ নদী ভরা  সবুজ-শ্যামল ফুল ও ফলে


চন্দ্র সূর্য তারকা নিয়ে, আসমানে খায় দোল
অগদ জলরাশির ঢেউ তরঙ্গ সমুদ্রে কল্লোল।


অগণিত পাখির বাহার, ওই আকাশ পথে চলে
কখনো কখনো বাড়ির ছাদে গাছের ডালে ডালে


কত প্রজাপতির রঙিন ডানাই বসে ফুলে ফুলে
মৌমাছিরা গুঞ্জরিয়া যায় যেন মনো প্রান খুলে।


দূর প্রান্তে পাহাড় গুলি, দেয় মায়ায় ভরা টান,
কত লতাগুল্ম পুষ্প সাজা এ ধরিত্রীর মাঝখান


কত বন জঙ্গল, নদ-নদী, সে আঁকাবাঁকা পথে
সৃজন করিল মহাপ্রভু যেন তার সৃষ্টির মহব্বতে


লক্ষ হরেক জীবজন্তু, সে অগণন সমাহারে,
তাহার মাঝে মানব শ্রেষ্ঠ সে বুদ্ধির অলংকারে


কত মেঘমালা পুঞ্জ পুঞ্জ, সেথা বৃষ্টি হয়ে ঝরে
কত আবেগ ভরা এ দেখে সুন্দর মানব অন্তরে


কোথাও নীল আসমান নীল দিগন্ত বহু বহু দূর
মিলাতে চাই এই মানব জীবন সেথায় গানের সুর


অগণিত গ্রহাণুপুঞ্জ ওই নিশীথ রাতের দেশে,,
কখনো পূর্ণিমা চাঁদ মেঘের আড়ালে উঠল সে হেঁসে


কত নদী নদী ভরা পুকুর, কোথাও ফাঁকা মাঠ
এই সুন্দর ধরিত্রীতে বসেছে সৃষ্টি মেলার হাট।


সকল সৃষ্টি দৃষ্টিপথে, মহাপ্রভুর সাজানো সে ডালি
কোথাও পাবে না "অসুন্দর" সৃষ্টিতে তাহা খালি।।