বট গাছের তল ছায়ায় বসে
জলকণার শব্দে ছুঁয়ে যায় মন,
বৃষ্টির ফোঁটা—
কখনো পাতার ফাঁক গলে, কখনো সরাসরি কপালে
সে যেন তোমারই নিঃশব্দ পরশ।

নদীটা পাশে—
ঝিম ধরা জলধারা বইছে ধীরে ধীরে,
তেমনই যেমন সময় বয়ে গিয়েছিল
তোমার চোখের গভীরতা ছুঁয়ে
আমার অজানা অভিমানে।

বটের ঝুলন্ত জটে জটে
জমে আছে মোদের পুরোনো দিনের কথোপকথন,
কোনো গোপন হাসি,
কোনো দীর্ঘশ্বাস—
যা আজ শুধুই স্মৃতির বেড়াজাল।

ঝোপের গহীনে এক ঘুঘুর ডাকেই চমকে ওঠে নিস্তব্ধতা,
সবুজ পর্দা সরিয়ে এক চিলতে আলো ঢুকে পড়ে কাঁপা মাটিতে,
কচি ঘাসে জমে থাকা শিশির—
এখনো ধরে রাখে এক পুরোনো পদচিহ্ন।

ঐ যে-
সামনের ছোট্ট ব্রিজটা
বর্ষার জলে ভিজে আজ আরও ধূসর,
সে যেনো আমার সেই চিঠি—
যা লেখা হয়েছিলো বহুযুগ আগে,
তবু পাঠানো হয়নি কখনো।

তুমি পাশে নেই,তবু আছো—
পাতার কাঁপনে,বাতাসের ফিসফাসে,
আর এই ছায়াঘেরা অরণ্যে
যেখানে আমি নিজেকে হারাই
তোমার এক নামহীন উপস্থিতিতে।

আজ বৃষ্টি শুধু জলে ভেজায় না—
ভিজিয়ে দেয় এক ফেলে আসা নামহীন প্রার্থনা,
তোমার অনুপস্থিতি ছুঁয়ে আমি বুঝি—
কখনো কিছু অপেক্ষা চিরকাল বটগাছের ছায়ায় বসে থাকে।