আমার তো মনে পড়ে, হয়তো তোমারও, হয়নি কভু রণে ভঙ্গ,
মান, অভিমানের লড়াই জীবনের-ই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।


চলছিল জীবনটা মিলিয়ে-মিশিয়ে, ভালো-মন্দে,
কিছু অস্পষ্ট ধোঁয়াশা ঘোল পাকিয়ে দিলো, নিদারুণ সেই ছন্দে।


অনেক লড়েছ লড়াই, হয়তো নিজেকে নিয়েই ছিলে অধিক ব্যস্ত,
পাশে রইলো পড়ে অনেকেই, তুলতে হতো তাদের ধরে দুই হস্ত।


বিনিয়ে বিনিয়ে করেছিলো কতো অনুরোধ, বিশ্বাস ছিল স্বল্প,
মন তো ভেঙ্গে যায়, রয়ে যায় প্রিয়জনের সেই গল্প।


কখনও হয়তো কেঁদেছ একান্ত নিভৃতে, স্মরণে সেই স্মৃতি,
আত্মাভিমান সরিয়ে দাওনি কাঁধে হাত, করে অঙ্গীকারের নতি।


চট জলদি উঠে গেলে মগ ডালে, ছিল অভাব যোগাযোগে, মিটবে দূরান্তরে!
ভূতলে রইলো যারা তোমার পানে চেয়ে, দুঃখ রইলো ঝুলে কপালের ফেরে।


শিকড় কে ভুলে, যদি নাহি পদ পড়ে ভূমণ্ডলে,
উপড়ে যখন যাবে শিকড়, সোপান বেয়েও সাফল্য যাবে বিফলে।


বাসনা আকাশ ছোঁয়া, হয়তো লক্ষ্য স্থির ঐ বিশাল শৈল চূড়ার পানে,
মৃত্তিকাকে ভুলে দৃষ্টিপাত উত্থিত হলে, রক্তাক্ত অবশ্যম্ভাবি, পদস্খলনে।


প্রিয় বন্ধু-সখা-পরিজন ভুলে যেতে যেতে, একদিন হবে বোধোদয়,
রইবে পড়ে নিঃসঙ্গ, নিস্তব্দ পৃথিবীতে, পুড়বে একাকীত্ব দহন জ্বালায়।


পেয়ে গেছো জীবনের সব রঙিন মুহূর্ত, উঠে গেছো শেষ তলায়,
থাকবে শুধু অর্থের ঝনঝনানি নিয়ে শকুকি মামাদের, পাশে শুধুই তমসাময়।


                                                        কোচবিহার, ০৫/০৫/২০২০