ধ্বংসের বীভৎস জোয়ারে বসে-
অশ্লীল বেশে
দেখছ নাচ তুমি, ছিঃ কী নির্লজ্জ হেসে!
একধারে বসিয়েছ আসর সর্বনাশা
মদ-গাঁজা; পর্ন-মাদক, ইয়াবা-সীসা,
চলে মরন নেশা।
আর ধারের চেহারা কী বিকট!
বুভূক্ষা বিস্তীর্ণ জনপদ জুড়েই এক জট-
চলে প্রাণপন সংগ্রাম অস্তিত্ব সংকট!
কোটি প্রাণ গগণ বিদারী আওয়াজ তোলে
প্রকম্পিত চরাচর, মর্মস্পর্শী কোরাস চলে
আর্তচিৎকারে যমের বুকও টলে!
কবরের নিরবতায় চোখে-মুখে ডর!
থমতমে শ্বাসরোদ্ধকর-
অবিরাম চলে মৃত্যুর প্রহর!
সন্তানেরা সেজেছে বিষাক্ত বানে-
অহর্নিশ তারা লড়ছে রনে,
করছে আঘাত একেরে অন্যে।
সুবিচার তোমার অভিধানেই নাই,
এক চোখা নীতির গেয়ে যাও সাফাই;
লাজ-লজ্জার তো নেই -ই বালাই।
স্বদুগ্ধ স্তনের নির্লজ্জ প্রদর্শনী তোমার!
যে পিয়েছে তারেই ডাকছ আবার-
বল, এই কি রীতি মাতার?
জানি যতদূর-
সম্ভ্রান্ত সৌরকুলের দুহিতা কোন কালের;
তুমি শ্যামল রাজকন্যা সুদূর ছায়াপথের।
শুভ্র প্রেমের চিরন্তন প্রতীক তুমি স্রষ্টার;
সার্বজনীন মাতা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির-
বল, কোন অমানিশাতে জন্ম তোমার!