নিঃসঙ্গ রাত চারপাশটা ঘুমকাতুরে-
তাঁকে নিয়ে হিসেবে একে একে জট ধরে ,
যোগ-বিয়োগ আর গুণ-ভাগের পরে-
দ্রুত বদলায় ফল ব্যস্তানুপাতিক হারে ।


প্রায়ই ঝড় তোলে শিরদাড়া বরাবরে,
নিমেষে স্পাইনাল কর্ড তছনছ করে-
পেলভিস গার্ডেল হয়ে নেমে যায় ধীরে ধীরে
ঠেকে  গিয়ে ঠিক ঠাক গোঁড়ালির হাড়ে ।


কখনো হিম-শীতল অনুভূতি কড়া নাড়ে
কাঁপা  ঢেউ উঠে বক্ষ পিঞ্জরে,হৃদয়-গভীরে,
ঠিক যেখানটায় সারাক্ষণ সে বসত করে;
নিশ্চিন্ত ঘুমায়, ভাবনার মন্দিরে ।


সে নিভৃতে হাঁটে আমার মন-নদী তীরে;
রাজহংসী হয়ে খেলা করে হৃদয় নীরে,
কখনো লাল জুটি হাঁস হয়ে সাদা মেঘে উড়ে-
একে একে মিশে যায় সমগ্র দিগন্ত জুড়ে।


জ্যামিতি বুঝিনা আমি, মিলাবো কি করে?
বিন্দু থেকে বিন্দুর শুধু কৌণিক দূরত্বই বাড়ে;
যেখানেই আঁকি তাঁকে বারে বারে যায় সরে,
এভাবেই থামে গিয়ে ১৮০ ডিগ্রী থেকেও দূরে ।


এই আছে এই না্ই,  হারায় যোজন যোজন দূরে-
কিছুতেই দেয়না ধরা, থাকে শুধু কুয়াশা ঘিরে;
তবু প্রাণান্ত পাক খাই তাঁকেই কেন্দ্র করে,
অবশেষে মিলে যায় ভাবলে তাঁর মান ধ্রুব ধরে !!