বিশ্বাস করুন, হলপ করেই বলতে পারি-
এই হল সেই কুমারী ঝিল;
ঠিক এখানেই ছিল কদম আর-
শীল কড়ইয়ের লম্বা সারি।


দিনশেষে দিগন্ত পানে হারিয়ে যেতো-
শহর ফেরত হাজারো পাখীর কলতান
আর এরই সাথে ধুয়ে মুছে শুদ্ধ হতো,
হারাত ক্লান্তি, বিষাদ আর বিমারী।


পূর্ণিমার চাঁদের সাথে কি মিতালী!
কখনো আবার রাতভর হাসির বড়াই
সেয়ানে সেয়ানে; অবশেষে জয় নিশ্চিত-
কুমারী ঝিলের স্ফটিক জলের।


বর্ষার ভরা মৌসুম এলে,
দোল খেতো শাপলা ফুলের মাঝেই-
কিশোরীর চোখের মতো পাতা শালুকের;
আর সেখানেই জলকেলী হতো বনোহাঁসের।


অতঃপর নোটিশ বিহীন মাটি চাপায়,
একদিন কেঁদেকুটে কর্দমাক্ত আর
পরিশেষে সম্পূর্ণ বিশোষিত ও বাস্তুচ্যূত-
স্বর্গথেকে আসা ঝিলের জলের প্রাণ।


এর কিছুই নেই আজ সেখানে,
নির্লজ্জ চিৎকার আর জবরদখলে উল্লসিত-
রড, সুরকি,বালি আর সিমেন্টে গড়া
অসংখ্য পিলার আকাশ পানে ধাবমান।