কতদিন অমন সাঁঝ দেখিনা
আমাদের পাড়া গাঁয়;
কার্তিক আসে
কার্তিক যায়
আগুন নিয়ে দৌড়া হয়না
পাটকাঠির তিনমুখো আটায়।


শোনা যায় না শাঁখের ধ্বনি;
লাহিড়ী বাড়ীর তুলসী তলায়;
চারি ধারই
নিরব প্রায়
উঠেনা বেজে উলুধ্বনি
মুখূজ্জে বউয়ের কাঁপা গলায়।


নবান্নের দিনের কথা
ভীষণ পড়ে মনে,
রাঙা বৌদির নেমন্তন্ন
পেতাম জনে জনে;
মেটো সানকি জুটবে কি না
ভাবতাম ক্ষণেক্ষণে;


সাঁঝের আগে পাতার খুঁজে
যেতাম রায়েদের বনে;
এই বুঝি হল বিপদ!
ভীষণ ভয় প্রাণে।
বন-ভূতদের ফাঁকি দিয়ে
পাতা কাটতাম সন্তর্পণে।


তে-পথের মোড়েই ছিল
ইয়া অশত্থ গাছ,
নাকি সুরের গীতের তালে
তেত্রিশ প্রেতের নাচ;
আঁশটে গন্ধ ছড়িয়ে তারা
খেতো শুধুই মাছ।


আঁধেক ক্রোশ জুড়েই ছিল
তেঁতুলবন আর বাঁশ,
সবাই জানে এখানেতে
শতেক ভূতের বাস;
নিমাই খুঁড়ো নিয়েছিলো
এখানেই তো ফাঁস !


ফেরার পথেও সবাই ভয়ে
একাট্টা সদল বল ,
হরিনাথের দিঘীতে নাকি
আবার বেড়েছে জল !
কেষ্টদার জ্যাঠিমা তো
এখানেই হল তল !


গোরস্থানে ছাড়লে গলা
হুক্কা হুয়ার দল,
আমরা সবে শশ্মান ঘাটে-
শুনি বল হরি, হরি বল !
ভয়ের চোটে ধূতি বেয়েই-
তখন বিষ্টুর ঝরতো জল !


(বিঃদ্রঃ কবিতাটি ধর্মীয় মূল্যবোধের বাইরে থেকে পড়ার অনুরোধ রইলো।)