বসন্তের ছোঁয়ায় বাড়ে অরণ্যের স্নেহ
চৈত্রদাহে উষ্ণ হয় প্রকৃতির দেহ;  
চোখে পড়ে স্পষ্ট যৌবনের চিহ্ন-
ক্রমশ ঋতুবতী বৃক্ষ; গুল্ম ;তৃণ।


যায় একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী রাত-
চতুর্দশীতে জাদুকরী ধ্রুপদী চাঁদ!
সরস তরু তনু ষোলকলায় পরিণত
নিমেষে দেহ ভাজে কাঁপন হয় অনুভূত।


ডালা পালা ছড়িয়ে খুঁজে ফেরে স্বজন
আদিম টানে তরুতে তরুতে নিবিড় আলিঙ্গন;
আবেগের বিনিময়ে আবিষ্ট তনুমন  
ঝড়ো ঘর্ষণে কামনার হয় দহন!


মাতাল উন্মাদনায় জ্বলে উঠে স্ফূলিঙ্গ-
অনলগর্ভা বীথি পুড়ে পুড়ে অঙ্গ!
পলকেই হয় ছাঁই গহীন বন জীবন্ত-
ধেয়ে চলে দাবানল তৃষ্ণা অনন্ত!