সামনেই বিস্তর মাঠ, আছে অনন্ত আকাশ-
এখানেই বেশ কেটে যায় প্রহর;
একাকি স্থবির বসে অসীম শূন্যতায়-
অনেকটা পাশের উইয়ের ডিবির মতোই।


পাশদিয়ে ছুটে গেছে সওজ এর চওড়া পথ
অনেকটা আঁকাবাঁকা সাপের মতো,
আর ছুটে চলে আমার মন যখন-তখন-
ঐ দূরের ছুটে চলা নদীর মতোই।


কখনো ভাবনার জেটিতে নোঙর করে শতেক নাও
নিমেষেই কেটে যায় শূন্যতা,
আসে কোলাহল ভিড় করে অতীত-বর্তমান,
অনেকটা ছবির রীলের মতো।


বদলে যায় ঋতু, যেভাবে বদলায় মানুষের মন;
আহ! কি কোমল শীতের পরশ;
লাজুক লাজুক শীত,
"স্কুল পড়ুয়া সেই কিশোরীটির মতো;


মনে পড়লো ঠিক পটের ছবির মতোই,
শিউলীতলায় এই আসে তো এই যেনো আবার আসেনা,
অবশেষে আমাকে দেখেই পালিয়েছিলো ঝুড়িহাতে-
ভীরু ভীরু চোখ, মনোহর চপল হরিণীর মতো।"


হেমন্তের গন্ধেভরা ফসলী মাঠ-
সোনালী রঙ অষ্টাদশী ভরাট দেহ,
সবুজের আবরণে ঢাকবার ব্যর্থ প্রয়াস,
মায়াভরা চোখ গর্ভবতী নারীর মতো।


ঐ দূরে সবুজ শ্যামল গাঁ-
ঝিলের জলের শালুকের মতো চোখ;
তাকিয়ে আছে কেমন মায়া ভরে-
ডাকে আমায় ঠিক মায়ের মতো।