কিছুটা জানা কিছুটা অচেনা আর বেশীটাই কল্পনা
বেভুল মন ভুলে ভুলেই কিভাবে যেনো-
অনেক কিছুকেই ভেবে ফেলে আপন;
নরসন্দার বুক ফোঁড়ে গজানো এক চর
একদিন সেখানেই উঠেছিল গড়ে সে নগর ।


ঋতুর ধারায় বেশ রূপ পাল্টায় এখানটার,
বাতাসে ভাসে কদম, শিউলী, বেল ফুলের মৌ মৌ ঘ্রাঁণ,
গুটি কতক নারকেল, অর্জুন আর দেবদারু গাছ;
বনোফুল আর ভাঁট ফুলের ঝাড়ে-
হয়তো মৌটুসী, দোয়েল সারাটা বেলাই চরে,
উঠতি বয়সী দু-একটা কলার চারাও পারে থাকতে,
মৃদু বাতাসে চামর দুলায় কোমল পাতায়;
দিন শেষে কাক-শালিকের ঝাঁক পাশে কোথাও
নিশ্চিন্ত ক্লান্তি ঝাড়ে কিচির মিচির কলরবে ।


কে রাখে খোঁজ, কারই বা আছে খবর?
সকাল, দুপুর, বিকেল সুলভ বিনিময় রঙ বেরঙ সুখের !
নামের আর দরকারটাই বা কি ছিল এ শহরের?
আমার কাছে সবটুকুই যেনো জোড়া পুকুর পাড়।


ডেকে চলে ফেরীওয়ালা-
শন-পাপড়ি, বাদাম টানা ফ্লাস্কে ভরালেবু চা
( অবশ্য চায়ের অভ্যাস নাই তার )
কখনো আইস্ক্রীম, চালতা আর জলপাই আচার,


হয়তো বছর দশেকের কোন বালিকা আসে-
এলোমেলো বিবর্ণ চুল, আহা!
কত স্বপ্নে ভরা উজ্জ্বল চোখ!
তরতাজা কদম ফুল কিংবা বকুলের মালা হাতে ।


খোসাওয়ালা বাদাম চিবিয়ে খাওয়ার ধুম
হয়তো এখানেই পড়ে হররোজ-
(যেমনটা দেখেছি অহরহ তাকে খেতে
ক্যাম্পাসে বসে, পটের ছবির মতো হেসে)
স্পষ্ট মনে আছে, একদিন বলেছিল সে-
পাশেই ঊর্মিদের বাড়ী তার পর ওদের ।।


(এক সহপাঠিনীর (নামটা গোপন থাকলো) বাড়ী কিশোরগঞ্জ শহরের "জোড়াপুকুর পাড়" এর কাল্পনিক বর্ণনায় লেখা, অনেক ইচ্ছে থাকার পরও সেখানে আমার কখনোই যাবার সৌভাগ্য হয়নি। রচনাকাল- ১৮ অগাস্ট ২০০১)