একদিন আমারও একটা শুক্লপক্ষের রাত ছিলো,
দিগন্ত জুড়ে শুধুই তোমার মুখ ছিলো,
রাতের জমিনে ভীরু পায়ের ছাপ ছিলো,
মাথার উপর নক্ষত্র জ্বলা এক আকাশ ছিলো।  


আর- এদিকে কোথাও একটা মঠ ছিলো
হয়তো এখানেই নয়তো বুকের গভীরে,
সান্ধ্য প্রদীপে মনের ঈশ্বরের ভোগ হতো
ধুপকাঠির ধোঁয়ায় সুবাস ছড়াতো বহু দূরে !


অতঃপর এখানে কৃষ্ণপক্ষ এলো,
লন্ডভন্ড হলো সব ধেয়ে আসা হিম-নিকষ ঝড়ে;
ধ্বসে গেল সুখের উৎস মুখ-
ভেসে গেলে তুমি নিমেষে সেই সুদূর চরে!


আজ জমাট বরফ নেই, আঁধারের খোলসও নেই বাকী
তবুও কেন ধুধু পড়ে আছে নিস্প্রাণ রাতের নগ্ন বুক?
সাঁড়াশি অভিযানে তছনছ হলো তামাম চর-
কোথাওতো পাওয়া যায়নি একরত্তি সুখ !


অনন্ত মহাকালতলে বিরান প্রান্তর আমি-
এখন জ্বলেনা আর কোন নক্ষত্র চোখ;
নিয়তির খুর চাকুতে ফালি ফালি বুক-ধর
আর দুঃস্বপ্নে ভরা বীভৎস-ভয়ার্ত এক মুখ !