তোমার পানে চোখ নেই সেই কতদিন;
হয়ে গেছো প্রাগৈতিহাসিক, ভীষণ প্রাচীন!
কালের গাঙে বয় নিরলস প্রহর-স্রোত,
স্মৃতির দেয়াল-চিত্রগুলো ফোটে থাকে নিখুঁত।


ক্যালেন্ডারের পাতার সাথে বদলায় দৃশ্যপট,
রোদ-পোঁড়া, শ্রাবন-ভেজা, কুয়াশা-ঘেরা মনের তট;
হয় ধূধূ প্রান্তর এক- প্রায় যেনো মরুময়,
তেতো আর নোনা জলে বিষাদের নদী বয়।


ফণীমনসার কাণ্ডে শোভিত বেগুনী ফুল,
সয়াবিন ক্ষেতে কাকতাড়ুয়ার মনেও লাগে দুল;
অর্কিডের লতানো দেহে এলো বলে বসন্ত!
তবুও কেন পর্দা-আটা, হৃদয়-দ্বার বন্ধ?


নি:সঙ্গ চারিধার নিস্তব্ধ, নি:শ্চুপ-
পাশেই ধূলির আস্তরণে ঘুমায় মনের টেলিস্কোপ;
ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন দূরে ধিকিধিকি তারা জ্বলে,
আর আমি পুঁড়ে যাই অষ্টপ্রহর বিষাদ-অনলে!