বড় ইচ্ছে ছিলো একদিন বলি-
“কি চাই তোমার?
মঙ্গলের আকাশ থেকে একরাশ গোলাপী মেঘ এনে দেই;
কিংবা মিল্কীওয়ের মেলা হতে একাধিক উজ্জ্বল নক্ষত্র?
অথবা দাও একটা মাটির গড়া পাত্র,
হৃদয় নিংড়ে খানিকটা প্রাণ রস দেবো যা আছে আমার!”


একদম চুপচাপ বসেছিলো সে-
হাঁটুতে গাল চেপে ঐ হিজল গাছটার তলে,
বিড়বিড় করে কী জানি কি বলেছিলো মনে-
আর শুধু এক চিলতে হাসি,
মিলিয়ে গিয়েছিলো তাও চুপিসারেই দূরের কাঁশবনে।
চোখ দুটো তার আছড়ে পড়েছিলো ঠিক যেনো
আমার মনের ডোবায় আর-
দৃষ্টিরেখা গিয়েছিলো গেঁথে হৃদয়ের এঁদো কাদায়!


অতঃপর আবার সেই নিরবতা-
দেখে দেখেই কেটে গেলো অনন্ত প্রহর,
কাদা থেকে পাথরেই এখন একাকার বুক ধর!
কিছুই হলোনা শোনা, তাকেও হলোনা জানা-
রয়ে গেলো এলোমেলোই সবি’
সেটে আছে সে হৃদয়ে আজো-
হয়ে আছে পিকাসোর কোন রহস্যময় দুর্বোধ্য ছবি!