অতুল ঐশ্বর্য তোমার সাগর সমান,
যত করি পান পিপাষায় ভরে ওঠে প্রাণ!
তোমার চক্ষের পানে চেয়ে,
কত শত গীত ওঠে গেয়ে-
কাপা কাপা ঠোঁটে জমা যত প্রণয়;
কিশোরীর মতো কেপে কেপে যাওয়া হৃদয়!
জমা কত কথা রাশি,
ক্ষনিকে বিশ্রুত হয়; প্রণয়ে যায় ভাসি।


মুহুর্ত মুহূর্ত করি আমরা দুজন;
রচে যাই কী এক গভীর নেশা ভীষণ আপন;-
সময়ে বাধা পড়ে জীর্ণ এ জীবন,
তোমার স্পর্শে জাগে অদ্ভুত দারুণ।


তোমার সাড়া পেয়ে শরীরের প্রতি কনা,
বিচিত্র হরষে মাতে; মানেনা মানা।
দুবাহু আঁকড়ে ধরে হৃদয় পিঞ্জরে,
এসো শূন্য এ বুকে, ধরো প্রিয়ে,- ধরো সজোরে;
জুড়াও পিয়াষা আমার তৃষিত প্রাণের!
তোমার তরে বয়ে চলা গভীর প্রণয়ের
ধারা আনুক তুফান।
এসো অবোগাহি সুধা করি পান,
ডুবে যাই সুখের সাগরের অতল গভীরে -
প্রতি জন্মে যেন আমি পাই তোমারে,
এই পৃথিবীর প্রেম তীর্থ সরোবরে।