যেদিন আমারে খুঁজে পাই অনন্ত আকাশে তারাদের মাঝে,
দূর গ্রহলোকে,  নক্ষত্রলোকে অথবা আরো দূরে নভোমণ্ডলে;
যেখানে শেষ হয় অনন্তের ।
সুবিশাল কায়া ধারী দেখেছি আমারে ব্রক্ষ্মান্ডব্যাপী-
কত শত নূতনের হতেছে প্রকাশ ,
কত সৃষ্টির দেখছি বিনাশ;
আরো কত লয়-প্রলয়, দ্বন্দ্ব-বিক্ষুব্ধ, শূন্য ও বৃহৎ;-
আমাতে বিলীন হয়ে গড়েছে অদ্ভূত জগত।


সবচেয়ে ক্ষুদ্র রূপে অলক্ষে সবারে যে গড়েছে নিপূন করে,
আমার অভিন্ন রূপে সেই আমি আছি সবার মাঝারে।
বিচিত্র বহু অঙ্গে আমার যে রূপ,-
অনাদি অনন্তকাল এই লয়ে রচে চলি জগত প্রপঞ্চ।


সুখ-দুঃখ-জরা-ব্যাধি-ভয় যা কিছু সর্বলোকে  দেখি;
আমাতেই আমার আশীষ, অভিশাপ; আপনি-ই লিখি।
আমার চরণ ছুঁইয়ে অই জাহ্নবী ধারা,
আমার আঁখিজল নিয়ে ওই যমুনা হলো সারা ।
যেথা ধর্ম, যেথা কর্ম, যেথা জ্ঞান, প্রেম  পরাভয়
আমার পুষ্প বিথরিয়া বিকোশিত, তারা আমাতে বিলয়।


অক্ষয় অদ্বিতীয় আমি করেছি বিস্তার বহু রূপান্তরে ;
আমারি বিচিত্র প্রকাশ জন্ম-মৃত্যু নাম ধরে সর্ব চরাচরে।
স্বর্গ-নরক,    দ্যুলোক-ভূলোক  সব হয়ে আছে চুপ-
যখন দেখেছি আমাতে আমার অসীম বিশ্বরূপ।