প্রিয়া মোর, কত শুণ্যতা জাগে রোজ,
কত বিরহ রোদন নিভৃতে কাদে, তোমারে করে খোঁজ।
কী তৃষ্ণা আহা চিত্তে মোর ;
এতটুকু ছোয়া পাই যদি!
এতটুকু ছুয়ে দেই যদি!
হটাৎ প্লাবন নামে, -
তোমার নদীর মতো আমার বুকের ভেতর!
অধীর প্রতীক্ষায় কাটে জীবন,
তোমারে ভালোবাসি;  তোমার অমৃত ধারার গহীন;-
এত কাছে, তবু কেন আমি পিপাষা নিয়ে ফিরি,
চাতকের মতো? যদি আমি মরি-
অযুত সরোবরে মিটে কি পিয়াস?
প্রেমিক চাতকের আস?
ওই বারি বিন্দু বিনে বাচে কী তার প্রাণ?
প্রিয়া, বেঁঁচে আছি বুকে করে এক গোপন দহন!


জানি এ জন্ম কেটে যাবে বুকের করে তৃষা!
ঘোরের মতো অদ্ভুত এক ভালোবাসার নেশা,-
জাগিবে হৃদয়ে!
জেনো, সময়ে এ পান্ডুলিপি যাবেনা ত ক্ষয়ে!
মানুষে বুঝি বুকে করে প্রেম পোষে?
দিনান্তে সন্ধ্যায় এক বুক দীর্ঘশ্বাসে;
তোমারেই খুজি প্রিয়া;  ওই কাজল চোখ,
রাঙা অধরের চুম্বন দেহের উষ্ণতার শোক;
বাড়ায় দিগুণ!
ওষ্ঠে ওষ্ঠ মিলুক, সর্বাঙ্গে সর্বাঙ্গ; জলুক আগুন-
প্রেমের উন্মাতাল জোয়ারে ভিজুক দেহ,
ভাসুক প্রাণ অনঙ্গ সুখে; ঘুচুক বিরহ।
বক্ষে এসো, জড়াও বাহুতে; ব্যাথা হোক আরো,
সবখানে ; হোক মুহুর্ত কিংবা ক্ষণকাল, -
তবুও সজোরে ধরো, আরো আরো আরো।