সেই সব প্রেম বুঝি শুধু নদীর গভিরে হারায়?
কী প্রশান্তি ছিলো আহা  সেই হটাৎ পাওয়ায়!
ফেলে যাওয়া ঘ্রাণ আজো হয়নি ম্লান;
ভুলবার সাধ্য নেই, যদিও ক্ষয়ে যাবে দেহ একদিন।
মৃতের পুরাণ আখ্যান হবে সময়ের শীলায়,
সভ্যতা বিলীন হবে সমুদ্রে অথবা মরুর তলায়;
জ্যোৎস্নায় আলো অদ্ভুত মায়া আর নেশা হবে-
এই সব নদী আর নারী কারে তবে কবে?
হৃদয়ের দহন?  প্রেয়সীর তরে কত কাদে এই প্রাণ!
তেষ্টা মেটানো আলিঙ্গন আর স্বাধহীন বিস্বাদ জীবন;
প্রতীক্ষা করে প্রিয় সেই প্রেয়সীরে আরো একবার পাবার-
উচ্ছন্নে যাক সব; আমি শুধু তোমারে চাই এ জনমভর।


সেই থেকে কত সহস্রবার চেয়েছি তোমারে;
দারুণ প্রেমের ভার বয়ে হাটিবো দুজন পথে প্রান্তরে,-
সেই সব নদীর চরে!
যেখানে ভেসেছি আমরা আলো আর জলে,
তোমার বুকের পরে নির্ভার এক মায়াবী জগতের কোলে।


হটাৎ একদিন আবার দেখিবো তোমারে;
শহুরে অগুনতি মানুষের ভীড়ে!
এখনো নক্ষত্রের আলোর নিচে আমরা দু'জন -
প্রেম খুজি! শরীর খুড়ে পেতে চাই অমরত্বের সন্ধান!
যদি উতলা প্রানে আবার আসিতে স্বাদ হয় কোন এক রাতে-
তুমি অবশ্যই এসো প্রিয়ে, দারুণ নেশা ভরা শরীরের সাথে!
যে ঘ্রাণ দিয়ে গেছো, দেহের সাথে পাকা ধানের ক্ষেতের মতো;
সেই থেকে হৃদয় দেয়না বিরাম এক মুহুর্ত।


তারপর আমিও নক্ষত্র হবো রাতের অন্ধকারে এসে চুপিসারে,-
পৃথিবীর পানে চেয়ে দেখিবো অনন্তকাল তোমারে;
যখন চাদের আলো জানালার ফাঁক গলে আসিবে বিছানায়,
বুঝিবে আজো ভালোবাসি, প্রতীক্ষা করি অসীম পিপাষায়।