কোন একদিন এই পৃথিবীর পরে,
এসেছি বেহুলার মতো ভেসে কোন অনাদি হতে!
কোন মৃত্তিকা দিয়ে রচিত শরীর?
জল-হাওয়া-আলো নিত্য করিছে পান ;-
তোমার অমৃত সুধা!
না চাহিতে ভরায়েছো হাত, রিক্ত হয়নি কভূ,-
ক্ষুধার অন্ন, করুণার ধারা কী অসীম তোমার প্রভূ!


যে কায়া ধরে,  যে মুর্তি করে গড়েছো আমায়,
যে কৃপা বলে বুঝিতে চেয়েছি তোমার স্বরূপ হে দয়াময়;-
সে কোন পুন্য বলে কে জানে!
না জানি কোথা হতে কোন খানে,
অজ্ঞাতে দাড়ায়ে যে সতত আমারে টানে!
সমস্ত দিনের শেষ আবারও দাড়াবো সেই সমুখে;
স্থীর নতশীরে চির প্রণত,   সুখে ও দুখে।


আজি এ জন্ম ক্ষণে পড়ুক মনে বারবার;-
সেইসব দয়া, করুণা আর অশেষ ক্ষমার মহিমা তোমার!
যে উদ্দেশ্যে এ ধরার পরে,  এনেছো আমারে;-
বল বীর্য জ্ঞান দিয়ে দাও তারে পূর্ণ করে।
এ ক্ষুদ্র কায়া হোক লয় মহৎ কর্ম মাঝে বারে বারে;-
চিত্ত প্রশান্তি পাক, হৃদয় ভরুক দয়ায়!
আমার হৃদয় সুর মিলুক বিশ্ব সংগীতের সুরে   চিরতরে,
কায় ছেড়ে যেনো ঠাই মেলে অনন্তে, সর্ব চরাচরে!