কতদিন কবিতা লিখিনা আমরা, তাই না?
কতদিন জানানো হয়না রোজকার বয়ে চলা বেদনা!
কতদিন দেখা হয়না আমাদের?
মনের ভেতর, দেহের ভেতর!
আমাদের হৃদয় গভীর থেকে হয়ে গেছে ক্ষয়;
হয়নি বহুদিন সেই সব বেদনার লেনদেন, প্রগাঢ় তৃষ্ণায়!


তোমার শ্বেত পদ্মের পাতায় লিখবো আমার অনুরাগ
শব্দ, স্পর্শ, গন্ধের করুণ বেহাগ রাগ।
বুভুক্ষ কবির মতো, ব্যাকুল বেহায়া প্রণয়ের ক্ষত;-
আমি যেন আজন্ম অনাহারী এক প্রেমিক ক্ষুধিত।


আরো একবার লিখবো তোমার জমিনের তলে!
তোমার অতল গভীরে রুয়ে দেবো রূপালী দানার নেশা;
আমার অস্ফুট নিবিড় করুণ আকুতি; লাঙলের ফালে,
খুড়ে খুড়ে দেখিবে তোমার দেহ! কতখানি ভালোবাসা -
পেয়েছে সে; কতখানি দেবার এখনো রয়েছে বাকি!
প্রেমের অধরা যাতনা গভীর ক্ষতের রেখা দিয়ে যায় আঁকি।


চুম্বন কতটা গভীর হলে;
নীস্তব্ধতা নেমে আসে নিথর শরীরের?
জমিনের কতটা গভীরে গেলে,-
সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে পাই তোমারে!
কত কাছে এলে ঝাপ্টা লাগে; শরীরের বুনো ঘ্রাণে,
অদ্ভুত ঘোর লাগে বিবস চৈতন্যে?


আমার গহিনে জমা শ্রাবনের এক আকাশ বিরহ,
অঝরে ভিজাবে তোমার শ্যামল; নরম কোমল দেহ।
লিখবো তোমার লজ্জাবনত শিরায় শিরায়;-
আমার এক যোজন সমান অভিমান; বিনিদ্র রাত্রি জাগায়।
কী এক অদৃশ্য নক্ষত্রের টান!  
আমারে নিয়ে যায় খুব কাছে, হানে পঞ্চবান।
তোমার গ্রীবায় শ্বাস ফেলে পোড়াই আমায়,-
জাপটায় ধরি; বাহুতে জমাট রক্তের কালো দাগ জমা হয়!
অজস্র স্মৃতি জমা আছে আমার সর্বত্র, শুরু থেকে সব;-
অমূল্য পরশপাথর সমান
তারা প্রত্যহ আনে তোমার অনুভব!
জগতে খুজো কেনো তুমি? সেখানে পাবেনা তোমারে-
দেখো এ হৃদয় ভেতরে; যেখানে রয়েছো তুমি সমস্তই জুড়ে।
ও সর্বাঙ্গ সুন্দর!
মর্তের পৃথিবীতে     তোমারেই খুজি,  আমি জন্ম-জন্মান্তর!